বিনোদন ডেস্ক:চলতি বছরেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনি ত্রিপুরার হয়ে লোকসভার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে।
তিনি হেরে গেছেন বিজেপি প্রার্থীর কাছে। তবে রাজনীতি সচেতন একজন অভিনেত্রী হিসেবে সবার নজড় কেড়েছেন।
অনেকে তার মধ্যে সম্ভাবনাও দেখছেন। সেই সম্ভাবনা থেকেই মমতা ব্যানার্জি তার কাঁধে তুলে দিয়েছেন যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব। সেই সায়নী আবারও রাজনীতির মাঠে সরব হলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আর সেজন্য তিনি বেছে নিয়েছেন সৃজিত মুখার্জির ওয়েব সিরিজের পোস্টার।
দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দিতে গিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তমলুকের বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরা আসামের বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার সেই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা চলছে বিরোধী শিবিরে।
সেই সমালোচনায় সামিল সায়নীও। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিরিজের পোস্টারের আদলে তৈরি ছবি শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষ।
কিছুদিন আগেই হইচই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’। সেই সিরিজের পোস্টার ফটোশপ করে তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি বসানো হয়েছে। পোস্টারের উপরে লেখা হয়েছে, ‘মাতঙ্গিনী এখানে কোনও আন্দোলন করতে আসেননি’।
টুইটারে শেয়ার করা সেই পোস্টারের ক্যাপশনে সায়নী লিখেছেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শেয়ার করা, একটু বাংলায় ব্যঙ্গ করা!’
উল্লেখ্য, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক মহান বিপ্লবী নেত্রী মাতঙ্গিনী হাজরা। ‘গান্ধীবুড়ি’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ সেপ্টেম্বর তদনীন্তন মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার সামনে ব্রিটিশ ভারতীয় পুলিশের গুলিতে তিনি শহিদ হয়েছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা।
৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের স্মরণ করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ-সহ একাধিক মহিলা যোদ্ধাকে সম্মান জানান তিনি।
বিভিন্ন রাজ্যের বীরাঙ্গনাদের নামের পাশাপাশি উচ্চারিত হয় তমলুকের মাতঙ্গিনী হাজরার নাম। কিন্তু তাকে বাংলার স্বাধীনতা যোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেওয়ার বদলে আসামের বীরাঙ্গনা বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। এতেই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এমন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবারই ত্রিপুরা গিয়েছেন সায়নী। তার আগেই টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে এই টুইটের মাধ্যমে তিনিও ট্রল করলেন।
সাননিউজ/এএসএম