বিনোদন প্রতিবেদক
হল মালিকরা সারা বছর অপেক্ষা করেন দুটি ঈদ মৌসুমের জন্য। কারণ ঈদের অবকাশকালীন সময়ে সিনেমা হলগুলো হয়ে ওঠে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু সব ক্ষেত্রের মতো এখানেও বাধ সেধেছে করোনা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও সিনেমা হল খুলতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন মালিকপক্ষের একাংশ। কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সর্বশেষ ১৭ মে প্রদর্শক সমিতির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে আলোচনাও হয়।
তবে গতকাল ১৮ মে সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঈদেও বন্ধ থাকবে দেশের সবকয়টি প্রেক্ষাগৃহ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মধুমিতা হলের অফিসে রবিবারে বৈঠক করেন হল মালিক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাদের দাবি ছিল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে হল চালু রাখার।
বৈঠক শেষে তারা জানান, ‘ঈদটাই হলো হল মালিকদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। অনেক মালিকই এখন প্রায় নিঃস্ব। তাই আমরা চেয়েছিলাম, পুরনো ছবি হলেও হলটা যেন চালু থাকে। তবে করোনার কারণে সরকারের তরফ থেকে হল বন্ধ রাখার নির্দেশ এসেছে। আমরা সে সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েই এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঈদুল ফিতরে সব হল বন্ধ থাকছে।’