বিনোদন প্রতিবেদক : চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর এবং আরও তিন সহকর্মীসহ ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন সময়ের সবচেয়ে মেধাবী নির্মাতা তারেক মাসুদ। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) তাকে হারানোর এক দশক পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই উপলক্ষে প্রকাশ হচ্ছে একটি বিশেষ বই। নাম ‘তারেক মাসুদ ও তাঁর স্বপ্নসংক্রান্ত’।
নির্মাতা হিসেবে তারেক মাসুদের জীবন ও কর্ম, চিন্তা ও দর্শন, স্বপ্ন ও অসমাপ্ত কাজগুলো নিয়ে তার শেষ চার বছর সময়ের কর্ম ও স্বপ্নসহযোগী তরুণ নির্মাতা প্রসূন রহমান এই বই লিখেছেন।
তারেক মাসুদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রন্থিত এই বইয়ে থাকছে বিশেষ কলাম, স্মরণ আলোচনা, একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার ও একটি স্মারক বক্তৃতার সংকলন।
প্রসূন রহমান জানান, বইটির প্রকাশক চন্দ্রবিন্দু। প্রচ্ছদ করেছেন রাসেল আহমেদ রনি। আর বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে তারেক ও ক্যাথরিন মাসুদ দম্পতির একমাত্র সন্তান নিষাদ মাসুদকে।
স্মৃতি থেকে প্রসূন রহমান বললেন, ‘তারেক মাসুদ বলতেন, সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা হচ্ছে রিলে-রেসের মতো। এক প্রজন্ম আরেক প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করে যায়। এই বইটি তারই ফসল বলে আমি মনে করছি। তার চিন্তা ও দর্শন, স্বপ্ন ও পরিকল্পনাসহ সাংস্কৃতিক অভিযাত্রারই ধারাবাহিকতা বহন করবে বইটি। যা হয়তো পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যোগাযোগের সেতু হয়ে সে আলোর বার্তাটি পৌঁছে দেবে।’
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টির হচ্ছিলো। তখন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক এলাকায় তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরদের বহন করা মাইক্রোবাসটি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ পাঁচ জন।
‘কাগুজের ফুল’ সিনেমার শুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন তারা।
সাননিউজ/এমএইচ