বিনোদন প্রতিবেদক : মহামারি করোনা মোকাবিলায় কয়েক দফা লকডাউনের পর বিধিনিষেধ অবশেষে কাটলো। বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে শেষ হলো লকডাউন। আবারও পুরোদমে ব্যস্ততা ফিরছে শোবিজের সবখানে। নাটকপাড়াতেও শুরু হলো শুটিং।
দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে বেশ উৎসব আমেজেই নাটকের শিল্পী ও কলাকুশলীরা কাজে ফিরছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঢাকাসহ দেশের নানা স্পটে জ্বলে উঠেছে শুটিংয়ের লাইট, চলছে শুটিং টিমের হাকডাক।
লকডাউনের কারণে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু নাটকের শুটিং হলেও অনেকদিন বড় পরিসরে কোনো কাজই শুরু হচ্ছিলো না। পাশাপাশি নাটকসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো থেকে ছিল শুটিং বন্ধ রাখার নির্দেশনা। নাটকসংশ্লিষ্ট কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায় আজ থেকে বিধি নিষেধ মেনে শুটিং শুরু হয়েছে।
বেশ কয়েকজন নির্মাতা এরইমধ্যে বুধবার সকাল থেকে ক্যামেরা চালু করেছেন। তাদের মধ্যে মিজানুর রহমান আরিয়ান, মাবরুর রশীদ বান্নাহর নাম শোনা যাচ্ছে।
নাটকের শুটিং শুরুর প্রসঙ্গে টেলিভিশন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পযর্ন্ত সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কাজ করলেও স্বাস্থ্যবিধি যেন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় সেজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সবাইকে।
অভিনয় শিল্পী সংঘ থেকে শুটিংয়ের জন্য কিছু গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। সেই গাইডলাইন মেনে প্রত্যেক অভিনয় শিল্পী কাজ করতে পারবেন। সরকারি যদি কোনো স্বাস্থ্যবিধি দেয় সেটাও অনুসারণ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো অভিনয় শিল্পী করোনা আক্রন্ত হলে তার খোঁজ সবসময় নেয়া হচ্ছে এবং তার চিকিৎসা ব্যাপারে সাহায্য করা হচ্ছে। শিল্পী সংঘ তার সদস্যদের প্রতি আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল রয়েছে।’
এদিকে উত্তরায় বিভিন্ন শুটিং বাড়ি মালিকদের সাথে কথা বললে জানা যায়, শুটিংয়ে ব্যবহৃত হওয়া বেশিরভাগ বাড়িই ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হয়। তাই শুটিং বন্ধ থাকলেও সেসব বাড়ির জন্য ভাড়া গুনতে হচ্ছে শুটিং স্পট মালিকদের। এ নিয়ে বেশ বেকায়দায় আছেন তারা।
তারা আরো বলেন, গত বছর করোনাকাল শুরু হওয়ার পর আর্থিক অনটনে রাজধানীর উত্তরার কয়েকটি শুটিং হাউজ বন্ধও হয়েছে। বিধিনিষেধ মেনেই শুটিং শুরুর পক্ষে তারা। দিনের পর দিন শুটিং বন্ধ থাকলে সবারই ক্ষতি। সবার জীবনেই করুণ পরিণতি নেমে আসবে। তাই তারা আহ্বান করছেন শুটিং শুরু করার।
তবে লকডাউন উঠে যাওয়ায় শিগগিরই শুটিংয়ে ব্যস্ততা বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
সাননিউজ/এমএইচ