বিনোদন ডেস্ক:
মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের থাবায় বাংলাদেশের অবস্থাও দিন দিন নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকা ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার মুক্তি পেছালো।
বিষয়টি সিনেমাটির অন্যতম পরিচালক, প্রযোজক এবং কাহিনিকার সানী সানোয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ‘মিশন এক্সট্রিম’ মুক্তি পাবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
সানী সানোয়ার বলেন, এন্টারটেইনমেন্ট দুনিয়ার জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতি একটি বড় ধাক্কা। আর, আমাদের এই ছোট মার্কেটের জন্য তো সুনামি। তারপরও আমাদের ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে। একটা 'সোশ্যাল কাজ'-এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই সিনেমার মূল উদ্দেশ্যই ছিল বহু সংখ্যক দর্শকের সামনে প্রদর্শিত করা। ম্যাসেজটা দেশব্যাপী পৌঁছে দেয়া। সেটা ঈদ হলে ভালো হতো। এখন ঈদে যেহেতু হচ্ছে না, তাই পরে কোনও একটি সুবিধাজনক সময়ে প্রথম পর্ব রিলিজ দিব। তার কিছুদিন পর আবার দ্বিতীয় পর্ব। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে বলে বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতির অনুকূলে আসলে মুক্তি চিন্তা করবো। তবে খুব জলদি যে সে সময়টা আসছে না তা বোঝা যাচ্ছে।
পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমাটি সানী সানোয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন ফয়সাল আহমদ। কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন আরেফিন শুভ, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, সাদিয়া নাবিলা ও তাসকিন রহমান। চলতি বছরের শুরুতে ‘মিশন এক্সট্রিম’র দুই পর্বের শুটিং শেষ হয়।
কপ ক্রিয়েশনের ব্যানারে সিনেমাটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন- সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, মাজনুন মিজান, ইরেশ জাকের, মনোজ প্রামাণিক, আরেফ সৈয়দ, সুদিপ্ত দীপ, রাশেদ মামুন অপু, এহসানুল রহমান, দীপু ইমামসহ অনেকে।
‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘সিটিটিসি’র কিছু শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সানী সানোয়ার নিজেই। সিনেমাটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে রয়েছে মাইম মাল্টিমিডিয়া ও ঢাকা ডিটেকটিভ ক্লাব।
সান নিউজ/ আরএইচ