বিনোদন ডেস্ক : বাংলা গানের সফল এক গীতিকবি রাজীব আহমেদ। তার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশসেরা সংগীত তারকারা। এই তালিকায় আছেন জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, পথিক নবী ও হাসানের মতো বরেণ্য শিল্পীরা।
বহু কালজয়ী গান রচনা করেছেন রাজীব আহমেদ। বিশেষ করে ব্যান্ডের গানে রাজীবের গীতিকবিতা সবার আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করে নিয়েছিল একটা সময়। তার লেখা কয়েকটি নন্দিত গান হলো- ‘পাগলা হাওয়া’, ‘রাখেনি আমায় কেউ’, ‘আমি কোন ফুলে দেবো পূজো তোমায়’, ‘নদীর বুকে চাঁদ’ ‘এক আকাশের তারা তুই’, ‘ও আমার সখী’, ‘লাল বন্ধু নীল বন্ধু’ ইত্যাদি।
তবে সেই রাজীব আহমেদ এখন গানের চেয়ে বেশি ব্যস্ত নাটকে। সারা বছরই তার লেখা বিভিন্ন নাটক প্রচার হচ্ছে। সেগুলো পাচ্ছে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তাও। আর ঈদ এলে তার নাটকের ব্যস্ততাও বাড়ে তরতর করে। এবারের কোরবানির ঈদে রাজীবের লেখা প্রায় ১০টি নাটক প্রচার হতে যাচ্ছে।
গানের মানুষ হয়ে নাটকে আসার বিষয়ে রাজীব বলেন, গানে যাদের সাথে আমি কাজ করতাম, তারা অনেকেই অনিয়মিত। আগের মতো জমজমাট বাজারটাও নাই। তাই গান থেকে কিছুটা অনিয়মিত হয়ে গেছি এবং নাটক লিখছি।
নিকট অতীতে রাজীবের লেখা কয়েকটি নাটক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। যেমন ‘মিস অ্যান্ড মিস্টার চাপাবাজ’, ‘গোলমরিচ’, ‘তেজপাতা’ ইত্যাদি। সবগুলো নাটকই রোম্যান্টিক-কমেডি ঘরানার।
এবারের ঈদেও সেই বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছেন রাজীব। তিনি জানান, এই ঈদে তার লেখা নাটকগুলোর মধ্যে অন্তত ৭টি নাটকে থাকছেন অপূর্ব। যার সবগুলোই রোমান্টিক-কমেডি।
একই বিষয়ে নাটক রচনার কারণ প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, মানুষ যা গ্রহণ করে-পছন্দ করে আমিও তাদের পছন্দকে গুরুত্ব দেই। এটা যখন গান লিখতাম, তখনও করেছি। নাটকের ক্ষেত্রেও করার চেষ্টা করছি। গানের ক্যাসেট আগে মানুষ টাকা দিয়ে কিনতো, এখন নাটকে চল্লিশ মিনিট সময় ব্যয় করছে- টাকা দিয়ে মেগাবাইট কিনছে। ফলে আমারও কিছুটা দায়বোধ আছে। মানুষের মন জয় করার ব্যাপার আছে।
সাননিউজ/এমএইচ