বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ঢাকাই ছবির অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে। যদিও ক্যারিয়ারের প্রথম সময়টা সুখকর ছিল না। পায়ের তলায় মাটি শক্ত করার জন্য করতে হয়েছে অনেক স্ট্রাগল।
ওই সময়ের কথা স্মরণ করে পূর্ণিমা বলেন, “তখন একের পর এক সিনেমা ফ্লপ হচ্ছিলো। এখনকার মত সাইবার বুলিং হতো না। তবে তখন সরাসরি মুখের ওপর এসে অনেকে বলতেন, ‘তুমি তো কুফা নায়িকা। তোমার অভিনয় কিছুই হয়না’। দাঁতে দাঁত চেপে সবার কথা মুখ বুঁজে শুনতাম আর আশুলিয়ায় গিয়ে হতাশ হয়ে এক প্লেট ফুচকা নিয়ে বসে যেতাম। একেকটা ফুচকা মুখে নিতাম, আর ভাবতাম-‘আমার কি হবে? কবে আমাকে লোকে পছন্দ করবে?”
সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনে ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’-এ কথাগুলো বলেছেন পূর্ণিমা। এখানে তিনি জীবন সংগ্রামের নানা গল্প শেয়ার করেছেন। অভিনেত্রী জানান, তার অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল শিশু শিল্পী হিসেবে ‘শত্রু ঘায়েল’ সিনেমায়। সেখানে অভিনয়ের জন্য এলিফেন্ট রোডের বাসা থেকে বিএফডিসি আসতেন রিকশায় চড়ে।
বড় হয়ে যখন ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমায় নায়িকা হলেন, তখন এসেছিলেন বেবি ট্যাক্সি চড়ে। কিছুদিন পর হলুদ রঙের ট্যাক্সি ক্যাবে করে শুটিং স্পটে যেতেন। কিন্তু ট্যাক্সি ক্যাবের ভাড়া বেশি গুণতে হতো বলে ৪/৫টি সিনেমায় অভিনয়ের পর মায়ের শখ হয়েছিল মেয়েকে একটি গাড়ি কিনে দেবেন।
নতুন গাড়ি কেনার সামর্থ্য ছিল না। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর আড়াই লাখ টাকা দিয়ে সে সময় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের টয়োটা স্টারলেট গাড়িটি কিনেছিলেন পূর্ণিমা ও তার পরিবার। কিন্তু পূর্ণিমার অবস্থা তখন খুব একটা ভাল ছিল না। তাই গাড়ির তেল কেনার টাকা থাকতো না প্রায়ই।
‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ এই পর্বটি সঞ্চালনা করেছেন রুম্মান রশীদ খান ও লাবন্য। জোবায়ের ইকবাল-এর প্রযোজনায় এটি প্রচারিত হবে ঈদের ২য় দিন ২২ জুলাই সকাল ৭টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে।
সান নিউজ/ এমএইচআর