বিনোদন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। মাত্র চার মাস আগে চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এবার রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন এই অভিনেত্রী।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) আচমকাই রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার কথা জানান এই অভিনেত্রী।
চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে হাওড়ার শ্যামপুর আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তনুশ্রী। তবে জিততে পারেননি। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতিতে তাকে সক্রিয় হতেও দেখা যায়নি। আর বৃহস্পতিবার জানালেন রাজনীতি ত্যাগের কথা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছরের ৮ মার্চ দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। ‘নতুন জন্ম হল আমার’, গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই বলেছিলেন এই অভিনেত্রী।
এর কিছুদিন পরই তাকে শ্যামপুরের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিপরীতে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ মণ্ডল। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানোয় কোনও কমতি রাখেননি তনুশ্রী। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে পোড় খাওয়া নেতা কালীপদ মণ্ডলের কাছে হেরে যান। তার জেরেই কি রাজনীতি ত্যাগ করলেন এই নায়িকা? প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
জানা যায়, গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আট দফায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ২১৩টি আসনে। বিজেপি জয় পেয়েছে ৭৭টিতে।
তবে এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যেকোনো রকম রাজনীতির রং থেকে তিনি বাইরে থাকতে চান। বিস্তর পড়াশোনা করেই সকলের রাজনীতির ময়দানে নামা উচিত বলে মনে করেন তনুশ্রী। তবে নিজের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে কোনো আফসোস নেই অভিনেত্রীর।
প্রায় চার মাসের স্বল্প এই সময়কালেই তিনি ‘অনেক কিছু’ শিখেছেন জানিয়ে তনুশ্রী বলছেন, আপাতত অভিনয়েই মনোনিবেশ করতে চান তিনি।
ফেসবুকে নিউ লুকের ছবি দিয়ে জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই নতুন কোনো ঘোষণা করতে পারেন তিনি। তার পাশাপাশি ‘সেলফি থেরাপি’তেও নিজেকে ভালো রাখছেন টলিপাড়া নায়িকা। তা আবার পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে।
সাননিউজ/এএসএম