বিনোদন ডেস্ক : পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের চাহিদা বেশি। এতে অভিনয় করতে হলে ক্যামেরার সামনে অভিনেত্রী-অভিনেতাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তা না হলে সে দৃশ্যের মধ্যে প্রাণ থাকে না। কিন্তু এ সমস্ত ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শ্যুটিংয়ে অনেক সময়ই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় অভিনয় শিল্পীদের। যৌন হেনস্থার শিকারও হোন অনেকে। ভারতের প্রথম এবং একমাত্র ঘনিষ্ঠ দৃশ্য পরিচালক আস্থা খন্না।
মুম্বাইয়ে জন্ম আস্থার। ২০১৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের মিটু আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব তিনি দেখেছিলেন। কিন্তু এত বড় আকারের একটা আন্দোলনও যে সময়ের সঙ্গে মানুষের গা সওয়া হয়ে যেতে পারে সেটাই তাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। হয়েছেও তাই। এত বড় আন্দোলনে অনেক নামজাদা মানুষের নাম উঠে এসেছে। নেট মাধ্যমে তাদের ধিক্কার জানানো হয়েছে। কিন্তু শেষমেশ এই সমস্যার সমাধানের উপায় নিয়ে কেউ ভাবেননি। তাই সময়ের সঙ্গে সবই ধামাচাপা পড়ে গেছে।
২০২০-এ শকুন বাত্রার একটি ছবিতে তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন আস্থা খন্না। একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শ্যুট করার জন্য পরিচালকের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সারা ভারতে এমন কাউকে পাননি তিনি।
একজন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য পরিচালকের কাজ কী? ঘনিষ্ঠ দৃশ্য সম্বন্ধে আগে থেকে সমস্ত অভিনেতাদের জানিয়ে রাখা। অভিনেত্রী এবং অভিনেতা দুজনেরই ওই দৃশ্যের জন্য সম্মতি রয়েছে কি না তা দেখা, ‘কাট’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেতাকে বাস্তব জীবনে ফিরে আসার পরামর্শ দেয়া এবং সর্বোপরি অভিনেত্রী যেন কোনো রকম হেনস্থার শিকার না হোন সে দিকে বিশেষ নজর দেয়া।
ইন্টিমেসি প্রফেশনালস অ্যাসোসিয়েশন থেকে ২০ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেই একজন ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের পরিচালক হয়ে ওঠেন।
এরপর ২০১৯-এর স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার, ২০১৮-এ অন্ধাধুন এবং ২০১৫- এ বদলাপুর-এর মতো ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করা আস্থা এবার নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইমের একাধিক ওয়েব সিরিজে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন।
তবে আমেরিকার উদাহরণ টেনে ভারতের মানসিকতায় এখনো অনেক বদল চাই বলে মনে করেন আস্থা। তা না হলে ২০১৮-র মিটু আন্দোলনের পরও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য পরিচালক পেতে দুবছর অপেক্ষা করতে হতো না ভারতকে।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নেটফ্লিক্সে ‘সেক্স এডুকেশন’ নামে একটি সিরিজের জন্যও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য পরিচালক নিয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে এটা ও’ব্রায়েনই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন আস্থা খন্না।
সান নিউজ/এনএম