বিনোদন ডেস্ক:
বলিউডের আকাশে এখন কাল মেঘের ছায়া। আবারো এক মহাতারকাকে হারাল ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ। বুধবার (২৯ এপ্রিল) ইরফান খানের পর বৃহস্পতিবারই (৩০ এপ্রিল) চিরনিদ্রায় গেলেন ঋষি কাপুর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় বুধবার (২৯ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। আইসিইউতেই রাখা হয়েছিল প্রবীণ বলিউড অভিনেতাকে। ঋষির অসুস্থতার খবর গতকালই নিশ্চিত করেছিলেন তার ভাই রণধীর কাপুর।
দীর্ঘদিন ধরেই ৬৭ বছরের ঋষি ভুগছেন ক্যান্সারে। টানা এক বছর নিউ ইয়র্কে চিকিৎসা চলার পর ২০১৯-এ তিনি রোগমুক্ত হয়ে মুম্বাই ফেরেন। কিন্তু মাঝেমধ্যেই সংক্রমণ বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। খবর, বুধবার সকালে শ্বাসকষ্ট বাড়ায় এইচ এন এন রিলায়েন্স হাসপাতালে ফের ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। যদিও পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছিল, সেই সময় ঋষির অবস্থা ছিল স্থিতিশীল।
বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ বলিউড সহ গোটা ভারত। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, 'ইরফান খানের পরেই ঋষি কাপুরের চলে যাওয়া বিরাট ক্ষতির মুখে দাঁড় করাল হিন্দি ছবির দুনিয়াকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ঋষির অনুরাগীরা তাঁর প্রতিভায় বুঁদ হয়েছিলেন। ভারতীয় সিনে দুনিয়া এবং চলচ্চিত্রপ্রেমীরা তাঁকে স্মরণ করবেন আজীবন। বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোকাহত।'
গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ঋষি। তড়িঘড়ি সেই সময় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল রাজধানীর একটি নামি হাসপাতালে। সেই সময় সংক্রমণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
মুম্বাই ফিরে আসার পরে তিনি আবার ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন সেখানকার একটি হাসপাতালে। তবে বেশিদিন তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ঋষি ২ এপ্রিলের পর থেকে টুইটারে নতুন কোনও পোস্ট করেননি। তবে তাঁর একাধিক পোস্ট বিতর্ক ছড়িয়ে ভাইরাল হয়েছে বহুবার। সমাজ-রাজনীতি সমস্ত কিছুতেই নিজের খোলামেলা মন্তব্যের জন্য পরিচিত ছিলেন।
একটু সুস্থ হওয়ার পরেই ফের কাজের দুনিয়ায় দেখা গেছে ঋষি কাপুরকে। দেখা গেছে নানা অনুষ্ঠানেও। হলিউডি রিমেক The Intern-এর শুট শুরুর কথা ছিল তাঁর। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে দেখা যেত দীপিকা পাড়ুকোনকে।
সান নিউজ/ আরএইচ