নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে চিত্রনায়িকা পরীমনি বলেছেন, হারুন স্যার (পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ) ম্যাজিকের মতো সবকিছু করেছেন। পুলিশ এত তাড়াতাড়ি সহযোগিতা করবে, ভাবতেও পারিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমার বিশ্বাস, ন্যায় বিচার পাব।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান পরীমনি। ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তার দায়ের করা মামলায় তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে সেখানে গেছেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
নায়িকা বলেন, ডিবি পুলিশ আমাকে ডাকেনি। আমিই এখানে এসেছি। আমাকে কাজে ফিরতে হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ এবং গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান পরীমনির সঙ্গে সেদিনের ঘটনা ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ৩ ঘণ্টা কথা বলেন। বিকালে গিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেখান থেকে বের হন নায়িকা।
গত রোববার রাত নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে পরীমনি জানান, তিনি হত্যা ও ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন। পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঘটনার বিচার চান তিনি। পরে রাতে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে পরীমনি জানান, নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে ওই ঘটনা ঘটান। পরদিন সোমবার সকালে ওই ঘটনায় নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের নামে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি। এরপর বিকালের মধ্যে নাসিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, পরীমনি পুলিশকে ধন্যবাদ দিতে এসেছেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ তার একমাত্র ভরসা ছিল জানিয়ে পরীমনি বলেন, আমার একমাত্র ভরসা ছিলেন বেনজির স্যার। আমি তার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছিলাম না। তিনি যখন জেনেছেন, তার কান পর্যন্ত গেছে, তখনতো আপনারা দেখলেন কয়েক ঘণ্টা লাগলো মাত্র। আমার মূল বিশ্বাসতো এটাই ছিল যে তার কান পর্যন্ত পৌঁছালে তিনি একদম নিজের মত করে দেখে নিবেন বিষয়টা।
ফেসবুক পোস্টে আইজিপিকে ম্যানশন করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি আইজিপির কাছে বক্তব্য পৌঁছাতে পারেনি বলেই এতো কথা। তিনি আমার একমাত্র ভরসা ছিলেন। তার কান অবধি ফেসবুকে স্ট্যাটাস এবং আপনাদের মাধ্যমে আমার বার্তা পৌঁছে যাওয়ার পরই কিন্তু তিনি তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আসামিরা যে যত বড় হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সুষ্ঠুভাবে দেখভাল করে মামলার তদন্ত সমাপ্ত করব।
সান নিউজ/আরআই/এমআর