বিনোদন ডেস্ক : বেশ কয়েক বছর ধরে সিনেমা শিল্পে ব্যাপক খরা চলছে। সিনেমা পাড়ায় একটু আধটু মানসম্মত গল্প না থাকার অভিযোগ থাকলেও আর্থিক সঙ্কট চরমে। দর্শকদের হল বিমুখতা, ইন্টারনেটের দৌরাত্মসহ একাধিক কারণে যেমন হুমকির মুখে চলচ্চিত্র শিল্প, তেমনি একের পর এক বন্ধ হচ্ছে সিনেমা হল। ফলে সিনেমা ব্যবসা নেই বললেই চলে।
পর্যাপ্ত দর্শকের অভাবে প্রায় প্রতি বছরেই দেখা যায় ১০-২০টি করে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর কোনোটি হচ্ছে শপিং মল, কোনোটি আকাশ ছোঁয়া ভবন, আবার কোনোটি হচ্ছে গোডাউন। তবে দিনাজপুরে এবার সিনেমা হল হয়েছে খাবার হোটেল।
জানা গেছে, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের বৃহৎ সিনেমা হল হিসেবে বিখ্যাত ছিল উত্তরা টকিজ। জেলার সর্বশেষ এই হলটি বন্ধ হয়ে যায় ২০১৯ সালে। এরপর সেটি একেবারের ভেঙে ফেলা হয়। তবে এখনো অক্ষত রয়েছে মেশিনঘর, নিচতলার প্রবেশদ্বার ও টিকিট কাউন্টার। আর সামনের এই অংশটিই এখন খাবারের হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সিনেমা হলের নাম অনুসারে এর নামও দেয়া হয়েছে উত্তরা হোটেল। মূল মালিকের কাছ থেকে একজন নারী জায়গাটি ভাড়া নিয়ে খাবার হোটেলটি পরিচালনা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে পার্বতীপুর পৌর শহরের নতুন বাজারে যৌথ মালিকানায় নির্মাণ করা হয় উত্তরা টকিজ নামে এই সিনেমা হলটি। এক সময় সিনেমা হলটি ছবি প্রদর্শনে জৌলুস ছড়াত শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত। পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ ও চিরিরবন্দর উপজেলা থেকেও দর্শকরা আসতো হলটিতে।
এই সিনেমা হলকে কেন্দ্র করে পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি হয়েছিল। সেটি এখনো সিনেমা রোড নামে পরিচিত। রোড থাকলেও সেই সিনেমা হলটি এখন খাবার হোটেল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের সাবেক এক কর্মচারী জানান, হলে দর্শকই তো আসে না। মালিক হল চালাবে কিভাবে? যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি হতো, তাতে বিদ্যুৎ খরচই ওঠতো না। আমাদের বেতনের টাকা আজও বাকি আছে।
সান নিউজ/এমএইচ/এমএম