আহমেদ রাজু : বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশের পরিচালক আবদুল জব্বার খান পেশায় ছিলেন একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। এর বাইরে একজন সৌখিন নাট্যকর্মী।
কমলাপুর ড্রামাটিক এসোসিয়েশনের তিনি সভাপতি ছিলেন। ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ববঙ্গ সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক ডক্টর আবদুস সাদেকের নিমন্ত্রণে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ক এক সভায় তিনি অংশ নেন।
তখন পূর্বপাকিস্তানে ছিলো ৯২টি সিনেমা হল। ড. সাদেক বিদেশি সিনেমার বদলে স্থানীয়ভাবে ছবি বানানোর কথা বলেন। ডক্টর সাদেকের বক্তব্যের পর অবাঙালি উর্দুভাষী চলচ্চিত্রব্যবসায়ী ফজলে দোসানী বলেন এখানকার আবহাওয়া খারাপ, আর্দ্রতা বেশি। তাই এখানে ছবি তৈরি সম্ভব নয়।
তার এই মন্তব্যে আবদুল জব্বার খান খুব ক্ষুব্ধ হন। দোসানিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন—কোলকাতায় যদি ছবি হতে পারে, তবে ঢাকায় কেন হবে না? আমি প্রমথেশ বড়ুয়াকে ছবির শুটিং করতে দেখেছি।
কোলকাতার কোনো কোনো নির্মাতাও আমাদের এখানে এসে ছবির শুটিং করেছেন। তাহলে এখানে কেন ছবি হবে না? মিস্টার দোসানি আপনি জেনে রাখুন, যদি আগামী এক বছরের মধ্যে কেউ যদি ছবি না করে, তবে আমি জব্বার খানই তা বানিয়ে প্রমাণ করবো।
এই চ্যালেঞ্জের জবাব হিসেবেই পরের বছর ১৯৫৩ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি নির্মাণ শুরু করেন বাংলাদেশের প্রথম পূর্নাঙ্গ সবাক বাংলা সিনেমা ‘মুখ ও মুখোশ’।
সান নিউজ/এম