আসমাউল মুত্তাকিন: কলকাতার জি বাংলা চ্যানেলের রিয়েলিটি শো মীরাক্কেল বেশ কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে। জনপ্রিয় কমেডি রিয়েলিটি শো ‘মীরাক্কেল-১০ এর মঞ্চে প্রথমবার পারফরম্যান্স করেই নজর কেড়েছেন সিলেটের ছেলে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান আবিদুল ইসলাম রিমন।
একের পর এক দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে চলমান মীরাক্কেল সিজন-১০ এ বেশ কয়েকবার রসিকরত্ন খেতাবসহ সিজন ১০ এ প্রথম বাংলাদেশি প্রতিযোগী হিসেবে জিতে নিয়েছেন পারফর্মার অব দ্য ডে।
দুই দেশের দর্শক ও বিচারকদের মাতিয়ে সুযোগ করে নিয়েছিলেন মীরাক্কেল সিজন-১০ এর ফাইনালে অংশ নেয়ার। আর এসব কারণেই সিলেটের ছেলে বাংলাদেশের আবিদুল ইসলাম রিমনকে ঘিরে প্রত্যাশাও ছিল বেশি।
তার সাফল্যের দিকে তাকিয়ে ছিল পুরো বাংলাদেশ। বাবা মারা যাওয়ায় হঠাৎ বাংলাদেশে চলে আসতে হয় রিমনকে। এরপর আটকা পড়েন লকডাউনে। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ফাইনালে অংশ নেয়ার জন্য কলকাতায় আর যেতে পারেননি।
এদিকে আবিদুল ইসলাম রিমনকে ছাড়াই মীরাক্কেল সিজন-১০ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনাল পর্বটি আগামী রোববার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৮টায় জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচার করা হবে।
এদিকে, ফাইনালিস্ট হয়েও মীরাক্কেল সিজন-১০ এর গ্র্যান্ড ফাইনালে অংশ নিতে না পেরে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল ভেরিফাইড একাউন্টে একটি পোস্ট দেন আবিদুল ইসলাম রিমন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ফাইনালিস্ট হয়েও মীরাক্কেলের ফাইনালে অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। লকডাউনের জন্য বাংলাদেশ আটকে গেলাম। সেই সাথে শেষ হলো মীরাক্কেল মঞ্চে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।
সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য মীরাক্কেল মঞ্চে লড়তে পারলাম না। এই আক্ষেপটা সারাজীবন থাকবে। তবে যারা ফাইনাল খেলছে তাঁদের জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।
আমি কৃতজ্ঞ জি বাংলা এবং টিম মীরাক্কেলের কাছে। আমাকে গ্র্যান্ড ফাইনালে অংশগ্রহণ করানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে ছিলো না। তাই ভারত যেতে পারিনি। আমি তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের সহযোগীটা ছাড়া কোন ভাবেই আমি আজকের মীরাক্কেলের রিমন হতে পারতাম না। তবে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ আমাদের ক্যাপটেন শুভংকর ও মীর আফসার আলী দাদার কাছে।
দুই বাংলার মানুষের কাছেও কৃতজ্ঞ। এতো অল্প সময়ে আপনাদের এতোটা ভালোবাসা পাবো ভাবিনি। পরিশেষে শুধু এইটুকু বলবো, আপনাদের ভালোবাসা এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
সবাই ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন। এবং অবশ্যই মীরাক্কেলের ফাইনালটা দেখবেন। স্বশরীরে থাকতে না পারলেও অন্যভাবে থাকবো ইনশাল্লাহ।’
উল্লেখ্য,স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান আবিদুল ইসলাম রিমনের বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের নয়াগ্রাম গ্রামে। তিনি মরহুম হাফিজ ফয়জুর রহমান ও হাজেরা বেগম দম্পতির পুত্র।
তিন ভাইয়ের মধ্যে রিমন সবার ছোট। সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিং বিভাগে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন রিমন। এর আগে তিনি ভারত সীমান্ত এলাকা নয়াগ্রাম প্রগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম, পূর্ব মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।
সাননিউজ/এএসএম