বিনোদন ডেস্ক: ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ২১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ২১২ জনের মধ্যে অন্তত ৬১ শিশু ও ৩৬ নারী রয়েছেন। এছাড়া গত ৮ দিনের চলমান হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ১ হাজার ৫০০ জনে। এমন অবস্থায় বিশ্বের নানা দেশের তারকারা ফিলিস্তিনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন৷ তারা নানাভাবে সংহতি প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিনের মানুষদের সঙ্গে৷
তারমধ্যে তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিলের লাল কার্ড দেখানো ছবিটিতো সারা দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে।
শোবিজের তারকাদের মধ্যে অনেকেই সোশাল মিডিয়া, রাজপথকে বেছে নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতি বিক্ষোভ ও ঘৃণা প্রদর্শনের মাধ্যম হিসেবে৷ টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে নাটালি পোর্টম্যান, বেলা হাদিদ, রিয়ানা, সুজান সারানডোনসহ অনেকে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
হলিউডের বিখ্যাত ইহুদি অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যান বরাবরই ইসরাইলের উগ্রতাকে ঘৃণা করেছেন। ২০১৮ সালে দেওয়া ‘ইহুদি নোবেল’ নামে খ্যাত একটি অ্যাওয়ার্ড বয়কট করেছিলেন তিনি। এবারও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে টুইটারে বার্তা দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে বেলা হাদিদ মার্কিন সুন্দরী ও সুপার মডেল। ২৪ বছরের এই সুন্দরীর বাবা ছিলেন ফিলিস্তিনি। নিজের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির প্রতি টান এতটুকু কমেনি ওয়াশিংটনে জন্ম নেওয়া বেলার।
তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার পরিবার ও ঐতিহ্যকে ভালোবাসি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ওরা (ফিলিস্তিনিরা) জয়ী হবেন। ইতিহাসই সত্য এবং সে ইতিহাস কেউ কোনোদিন মুছতে পারবে না।’
লস অ্যাঞ্জেলসে তার নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ও ইসরায়েলী হামলার প্রতিবাদে শোভাযাত্রাও বের হতে দেখা গেছে। ফিলিস্তিনের পতাকা গায়ে জড়িয়ে এসময় বেলার সঙ্গে ছিলেন তার দুই বোন।
লস অ্যাঞ্জেলসের নামি কবি, গীতিকার ও শিল্পী মুস্তাফা আহমেদ ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনে আমারও সময় কেটেছিল অত্যন্ত কঠিনভাবে। সেখানে গণহত্যা আর উপনিবেশবাদের শিকার হয়েছিলাম আমিও। আমি দেখেছি এবং শিক্ষা নিয়েছি ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে-স্বাধীনতা আদায়ে কীভাবে জীবন দিতে হয়।’
গেল সপ্তাহে চ্যানেল ফোরের একটি থ্রিলার সিরিজের জনপ্রিয় অভিনেতা মাইসা আব্দ এলহাদি প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইসরাইল পুলিশের গুলিতে আহত হন। ফিলিস্তিনের অভিনেত্রী নাজারাহ তার পোস্টে জানান তিনিও ওই হামলায় আহত হয়েছেন। তিনি আরও লেখেন, ‘তোমাদের (ইসরাইলিদের) হুমকিকে আমি মোটেও ভয় পাই না।’
এছাড়াও তুরস্ক ও পাকিস্তানের অনেক তারকা ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের অনেক তারকাও৷
হলিউডের এক সময়ের সুপারক্রেজ অভিনেত্রী সুজান সারানডোন তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘ইসরাইলি ইহুদিদের বর্বর কর্মকাণ্ড সারা দুনিয়া দেখছে। তাদের অত্যাচার আর নিপীড়নের শিকার স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।’
হলিউড অভিনেতা পরিচালক মার্ক রাফেলো জেরুজালেমের লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে ওঠা বসতি শেখ জারাহকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে জাতিসংঘের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘ইসরাইলকে নিষিদ্ধ করে ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করুন।’
সোমালি-আমেরিকান ফ্যাশন মডেল হালিমা অ্যাডেন লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য আমার হৃদয় কাঁদছে।’ বার্বাডোজের জনপ্রিয় গীতিকার, গায়িকা ও অভিনেত্রী রবেইন রিয়ানা ফেন্টি লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের শেখ জারাহতে কী ঘটছে, এসব নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে।’
সাননিউজ/এএসএম