বিনোদন ডেস্ক:
২০১০ সালে ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ‘খোঁজ-দ্য সার্চ’ সিনেমায় অভিনয় করার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন অনন্ত। তার হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে ডিজিটাল চলচ্চিত্র। এরপর একের পর এক চলচ্চিত্র উপহার দেন দর্শকদের।
১৭ এপ্রিল শুক্রবার ছিল ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক অনন্ত জলিলের জন্মদিন । করোনার এই সময়ে ঘরেই কেটেছে তার দিনটি।
এই প্রযোজক ও নায়ক সমাজ সেবামূলক কাজেও উদারহস্ত। দুস্থদের সেবা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে অনন্ত জলিল বরাবরই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। করোনা মোকাবিলায় তিনি এর আগেও সাহায্য সহযোগিতা করেছেন অনেক।
এদিকে জন্মদিনে অনন্ত জলিল এক ভিডিও বার্তায় জানান, তিনি তার কারখানার শ্রমিকদের ১২কোটি টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির এই সময়ে পোশাক খাতের অনেক কোম্পানিই যখন কর্মীদের বেতন না দিয়ে বঞ্চিত করছে তখন অনন্ত জলিলের এই কাজকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।
করোনার কারণে বেকার হয়ে পড়া শিল্পীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনন্ত। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মাধ্যমে গত ২৭ মার্চ ২২০ জন বেকার শিল্পীর কাছে সহায়তা সামগ্রী হিসেবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিয়েছেন। এরপর ২৯ মার্চ পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির উদ্যোগে চলচ্চিত্রের আরো ২৬০ জন দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান অনন্ত।
এরপর বর্ষার অনুরোধে অনন্ত জলিল গত ৩ এপ্রিল ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাদের বাসার সামনে ৩৫০ মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন খাদ্য ও জীবাণুনাশকসামগ্রী। পুরো আয়োজনটি সমন্বয় করেছে মোহাম্মদপুর থানা। এগুলো বিতরণ করেছেন অনন্ত জলিল এবং তার ছোট্ট দুই ছেলে আরিজ ও আবরার।
৫ এপ্রিল বর্ষার দেশেরবাড়ি সিরাজগঞ্জে ১০০০ পরিবারের মধ্যে একইভাবে সামগ্রী বিতরণ করেন তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা।
এছাড়াও তিনি তার কারখানার এলাকা হেমায়েতপুরের একটি মসজিদে ৫ লাখ টাকা দান করেছেন। সেখানেও দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী। দুটি অসহায় পরিবারের মাসিক খরচও বহন করার দায়িত্ব নিয়েছেন অনন্ত। তাদেরকে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন তিনি।
অনন্ত অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, ‘দ্য স্পীড’, অনন্য মামুন পরিচালিত ‘মোস্ট ওয়েলকাম’।
বর্তমানে তিনি ইরান-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমায় অভিনয় করছেন।
সান নিউজ/সালি