বিনোদন প্রতিবেদক : এক সপ্তাহের ‘লকডাউনে’ সিনেমা হল বন্ধের বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনও নির্দেশনা না পাওয়ায় সিনেমা হল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে হল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সাত দিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রোস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সিনেমা হল ও চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র-১) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সিনেমা হল বন্ধ করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে কোনও নির্দেশনা না পাওয়ায় লকডাউনে হলে ছবি প্রদর্শন করা হবে বলে জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন।
রোববার (৪ এপ্রিল) বিকালে তিনি বলেন, “সরকার হল বন্ধের নির্দেশনা দিলে আমরা বন্ধ করব। এখনও যেহেতু কোনও নির্দেশনা আমরা পাইনি সেকারণে বন্ধ করতে চাই না। হলে ছবি চলবে; এমনিতেই হলে দর্শক আসে না।”
মহামারীর মধ্যে সাত মাস ধরে বন্ধ থাকা দেশের সব সিনেমা হল গত বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে হল খোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার।
হল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস জানান, এখনও সেই নিয়মেই সিনেমা হল চলছে।
গত বুধবার তিনি বলেছিলেন, “মহামারীর মধ্যে সিনেমা হল খোলার পর থেকেই ৫০ ভাগ দর্শক খালি রেখে ছবি চালাচ্ছেন হল মালিকরা; সেটিই অব্যাহত আছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি জোর দেওয়া হবে।”
নাম না প্রকাশের শর্তে এক হল মালিক বলেন, “সিনেমা হলের ৫০ ভাগ আসন তো অনেক; মহামারীর মধ্যে হল খোলার পর থেকে ১০ ভাগ দর্শকও আমরা পাইনি।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে প্রায় সাত মাসের জন্য দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ ছিল।
সরকার অক্টোবরে সিনেমা হল খোলার অনুমতি দিলেও বলাকা, মধুমিতাসহ বেশ কয়েকটি সিনেমা হল এখনও খোলেনি।
চলচ্চিত্রের শুটিংও চলবে :
চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের বিষয়ে প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু জানান, শুটিং বন্ধের বিষয়ে সরকারি কোনও নির্দেশনা না পাওয়ায় লকডাউনেও চলচ্চিত্রের শুটিং চলবে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
“স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করার জন্য চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করব আমরা।”
সান নিউজ/এম