বিনোদন প্রতিবেদক : মডেলিং, উপস্থাপনা, নাচ, গান, ছোট পর্দায় অভিনয়সহ সবই করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। রুপালি পর্দায় তার পথচলা শুরু হওয়ার খবর শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠছিল না। যা একটু-আধটু শোনা যাচ্ছিল, করোনা ভাইরাস মহামারি এসে যেন তা আরও পিছিয়ে দিলো।
অবশেষে চলচ্চিত্রে কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন মিথিলা। অনন্য মামুনের ‘অমানুষ’ ছবিতে নিরবের বিপরীতে অভিনয় করবেন তিনি। আগামী ২৪ মার্চ থেকে ঢাকায় ছবিটির চিত্রায়ন শুরু হবে। এরপর তারা যাবেন বান্দরবান ও রাঙামাটিতে। থ্রিলার ধাঁচের গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এর চিত্রনাট্য।
ব্যস্ততার কারণে এতদিন বড় পর্দা নিয়ে অত বেশি করে ভাবতে পারেননি বলে জানালেন মিথিলা। তার কথায়, ‘ব্র্যাকের সঙ্গে ১৩ বছর ধরে যুক্ত আছি। এছাড়া আমার নিজের লেখাপড়া আছে। সন্তানকে সামলাতে হয়। চাকরির কারণে দেশের বাইরে আসা-যাওয়ার ব্যাপার ছিল। কিন্তু এখন করোনা মহামারির কারণে ভ্রমণটা একটু কমেছে। তাই সময় মিললো। এবার মনে হলো চলচ্চিত্রে পথচলাটা শুরু করি।’
মিথিলা অভিনয়ের প্রতি ভালোলাগার কথা উল্লেখ করেছেন আলাদাভাবে, ‘আমি অভিনয় ভালোবাসি। আমি একজন অভিনেত্রী। বিভিন্ন পরিসরে আমি অভিনয়টা করতে চাই। টিভি দিয়ে আমার শুরুটা হয়েছিল। করোনা মহামারির পর ওয়েব সিরিজে কাজ করছি। এবার বড় পর্দার দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছি।’
কয়েকদিন আগে ভারতের ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম জিফাইভে এসেছে মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘কন্ট্রাক্ট’। এতে আরও অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী ও আরিফিন শুভ। গত বছর ভারতের আরেক ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’তে মুক্তি পায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ওয়েব সিরিজ ‘একাত্তর’। এতে সাংবাদিক রুহি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
এদিকে নিজের মেয়ে আইরা তেহরীম খানকে নিয়ে শিশুদের জন্য ভ্রমণবিষয়ক বই লিখেছেন মিথিলা। শিশুতোষ গ্রন্থের ব্র্যান্ড গুফি থেকে বের হচ্ছে এটি। তিনি মোট পাঁচটি বইয়ের সিরিজ লেখার জন্য গুফির মূল প্রতিষ্ঠান লাইট অফ হোপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
সিরিজটির নাম ‘আইরা আর মায়ের অভিযান’। এর প্রথম গল্প ‘তানজানিয়ার দ্বীপে’ প্রকাশ হচ্ছে এবারের অমর একুশে বইমেলায়। আগামী ২৭ মার্চ বিকেল ৫টায় মেলার শিশু চত্বরে লাইট অফ হোপের স্টলে (৫৭১) এর মোড়ক উন্মোচন হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন মা-মেয়ে। এছাড়া অতিথি হিসেবে আসবেন কথাশিল্পী আনিসুল হক।
ভ্রমণবিষয়ক গ্রন্থ প্রসঙ্গে মিথিলা জানান, সিরিজটির মূল বিষয়বস্তু সাত বছরের মেয়ে আইরার চোখে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ এবং সেসব স্থান থেকে বিভিন্ন বিষয় শেখাকে ঘিরে। এর মধ্যে ‘তানজানিয়ার দ্বীপে’ ছয় বছর থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের উপযোগী। তার কথায়, ‘আগেই বলেছি কাজের সুবাদে আমাকে বিভিন্ন দেশে যেতে হয়েছে। আমার ভ্রমণসঙ্গী আইরা। ‘তানজানিয়ার দ্বীপে’ গল্পটি আইরার চোখ দিয়ে লেখা। পুরো ভ্রমণ শেষে সে শেখে কীভাবে ভয়কে জয় করা যায়।’
‘তানজানিয়ার দ্বীপে’ গ্রন্থের মূল চরিত্র আইরা ও তার মা মিথিলাকে আঁকা হয়েছে তাদের মতো করেই। ৩৬ পাতার বইটির প্রতিটি পাতা রঙিন। ছবিগুলো এঁকেছেন মহাইমেনুল রাকিব। তিনি ব্র্যাক বাংলাদেশে মিথিলার সহকর্মী। বইটির শুরুতেই দেওয়া আছে মিথিলা ও আইরার ‘তানজানিয়ার দ্বীপে’ পড়ার ভিডিও। স্মার্টফোন দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ভিডিওটি দেখা যাবে।
সান নিউজ/এম