বিনোদন ডেস্ক: বলিউডে সবাই তাকে একটু ঠোঁটকাটা স্বভাবের বলেই জানেন। তিনি অবশ্য শুধু নিজেকে বলিউডে অভিনয়ের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখেননি। দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকাশ করেছেন নিজের মত। আর এরপরপরই তাকে হতে হয়েছে ট্রোলড। এইতো ভারতে চলমান কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতা করে বিজিপির কর্মী বলেও তাকে তকমা পেতে হয়েছে সমালোচকদের কাছ থেকে।
এতো কিছুর পরও তিনি নিজেকে আড়ালে রাখেননি। সেই তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন বলিউড কুইন খ্যাত কঙ্গনা রৌনত। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় কঙ্গনা লিখেছিলেন, তার বিরুদ্ধে নাকি ৭শ' এফআইআর দায়ের করা রয়েছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়।
বলিউডের বর্ষীয়ান গীতিকার জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানির মামলায় কঙ্গনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আন্ধেরির এক নিম্ন আদালত। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর সেই মামলায় অযথাভাবে নিজের নাম জড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন জাভেদ আখতার। কঙ্গনা তার মানহানি করেন বলেও অভিযোগ করেন জাভেদ।
গত বছরের নভেম্বরে জাভেদ আখতার কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার ভিত্তিতে তাকে আন্ধেরির এক নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার (১ মার্চ) নির্দিষ্ট দিনে হাজির না থাকার জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে জারি হলো গ্রেফতারি পরোয়ানা। গত ১ ফেব্রুয়ারি কঙ্গনার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন ম্যাজিস্ট্রেট। সেই সমন অনুযায়ী তাকে ১ মার্চ উপস্থিত থাকতে বলা হয় কিন্তু সেই নির্দেশ মানেননি অভিনেত্রী।
তাছাড়া কঙ্গনা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি মুম্বাই যেতে আগ্রহী নন, মহারাষ্ট্র সরকারের হাতেই তার জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন। সম্পত্তিও ধ্বংস করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ। সেই কারণেই উচ্চ আদালতের কাছে কঙ্গনার আবেদন, যাতে তার বিরুদ্ধে দায়ের ফৌজদারী মামালাগুলি বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য হিমাচল প্রদেশের সিমলার আদালতে স্থানান্তরিত করা হোক।
সান নিউজ/এসএস