নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের আলোর মিছিল ছিল কিংবদন্তিসম অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। কিন্তু তার দৈহিক মৃত্যুতে সেই আলো নিভে গেলো। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
শনিবার একুশে পদকপ্রাপ্ত ও প্রতিভাবান অভিনয় শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামানের মরদেহে তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় রাজধানীর সূত্রাপুরে এটিএম শামসুজ্জামানের নিজ বাসভবনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল শামীম এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগতে তার অবদান জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। তিনি মানুষের হ্রদয়ে অপর হয়ে থাকবেন। এই মহান অভিনেতা জীবনের শেষবেলা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল থেকেই তিনি চিরবিদায় নিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার এ টি এম শামসুজ্জামান সকাল ৯টায় রাজধানীর সূত্রাপুর নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর এবং তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণকারী এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য। অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করে তিনি আলোচনায় আসেন।
সান নিউজ/এমআর/আরআই