বিনোদন ডেস্ক:
বাহ্যিক সৌন্দর্যের থেকে মানবিক সৌন্দর্যই স্থান পায় মানুষের মনে। তেমনি ভাবে যেন এবার মানবিক সৌন্দর্যের অলিখিত খাতায় নাম লেখালেন ২০১৯ সালে ‘মিস ইংল্যান্ড’এর খেতাব পাওয়া ভাষা মুখার্জি। মানুষকে সেবা দিতে এবার স্টেথোস্কোপ হাতে তুলে নিলেন এই মিস ইংল্যান্ড। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে তিনি চিকিৎসক ছিলেন।
করোনার বিপর্যয়ে কাঁপছে সমগ্র বিশ্ব। এর ছোবল থেকে রেহাই পায়নি যুক্তরাজ্যেও। তাই এই ক্রান্তি-লগ্নে করোনা রোগীদের সেবা দিতে আবারও হাতে স্টেথোস্কোপ তুলে নিয়েছেন ভাষা। ফিরে গেছেন হাসপাতালে।
পৃথিবীতে কিছু মানুষ রয়েছে যারা আসলে মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতেই বেশি পছন্দ করেন। বাংলায় একটা প্রবাদ রয়েছে ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে’। তেমনি এই মিস ইংল্যান্ডও কয়েক মাসে ধরে বেশ কিছু দেশে সমাজসেবা মূলক কাজে করছিলেন। মার্চ মাসে তিনি ছিলেন ভারতে। কিন্তু যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়ে তখনই তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যান।
এরপর ২৪ বছর বয়সী এই তরুণী করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে নিজের পুরনো কর্মস্থল বোস্টনের পিলগ্রিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভাষা তাদের জানান, তিনি পুনরায় কাজে ফিরে যেতে চান। এরপরই তিনি চিকিৎসক হিসেবে আবারও সেবা দিতে শুরু করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ‘মিস ইংল্যান্ড’র খেতাব পান ভারতীয় বংশোদ্ভূত দেশটির নাগরিক ভাষা মুখার্জি। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে তিনি চিকিৎসক ছিলেন। ‘মিস ইংল্যান্ড’ হওয়ার পর এ পেশা থেকে সাময়িক বিরতিতে ছিলেন।
ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও নয় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে চলে যান ভাষা। সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন তারা। অত্যন্ত মেধাবী এই তরুণী চিকিৎসক ৫টি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পেয়েছেন ‘জিনিয়াস’ উপাধিও।