বিনোদন ডেস্ক: ইতিমধ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন নিয়ে বেশ উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে। যারা নির্বাচন করবেন তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ কেউ নির্বাচনী প্যানেল তৈরির কাজ অনেকটা করে ফেলেছেন।
আগামী ২ এপ্রিল পরিচালক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে দেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে তার সভাপতি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'সভাপতি পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে। পরিচালকদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করতে চাই। কিন্তু যেসব নোংরামি দেখছি তাতে করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিই কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে'।
তিনি আরও বলেন, 'শুনেছি অনেকে সদস্যদের বাসায় বাসায় গিয়ে ভোট চাইছেন। বিষয়টি আমি পছন্দ করি না। এমন পরিস্থিতিতে সিনিয়র নির্মাতা হিসেবে কারো বাসায় বাসায় গিয়ে ভোট চাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না'।
কাজী হায়াৎ তার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে এস এ হক অলিককে নির্বাচনের জন্য রেখেছেন। এছাড়া আব্দুস সামাদ খোকন ও খিজির হায়াত খানসহ প্রবীণ-নবীন অনেক পরিচালকও রয়েছেন তার প্যানেলে।
কাজী হায়াৎ ১৯৭৪ সালে পরিচালক মমতাজ আলীর সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৭৬-১৯৭৭ মৌসুমে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবিরের সাথে 'সীমানা পেরিয়ে' ছবিতেও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭৯ সালে 'দি ফাদার' ছবিটি পরিচালনার মধ্যে দিয়ে পূর্ণ-পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তার বেশিরভাগ ছবিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সমসাময়িক জনদুর্ভোগের চিত্র ফুঁটিয়ে তোলেন।
কাজী হায়াৎ অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালিত অন্যতম চলচ্চিত্রসমূহ হল দাঙ্গা (১৯৯২), ত্রাস (১৯৯২), চাঁদাবাজ (১৯৯৩), সিপাহী (১৯৯৪), দেশপ্রেমিক (১৯৯৪), লাভ স্টোরি: প্রেমের গল্প (১৯৯৫), আম্মাজান (১৯৯৯), ইতিহাস (২০০২), কাবুলিওয়ালা (২০০৬) এবং ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না (২০১০)।
সান নিউজ/এসএস