বিনোদন প্রতিবেদক:
করোনার প্রকোপ এড়াতে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বিনোদন অঙ্গনের সবকিছু। এতে করে জীবন যাপন করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারকাদের রূপসজ্জাকারীরা। স্বল্প আয়ের এসব মানুষের মূলত দৈনিক আয় দিয়েই চলে তাদের সংসার। করোনায় শুটিং বন্ধ থাকায় পরিবার–পরিজন নিয়ে স্বল্প আয়ের এই মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। তাঁদের এই দুর্দিনে পাশে নেই খোদ তারকারাই।
এখন পর্যন্ত নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা–সতর্কতায় সব ধরনের শুটিং ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। রূপসজ্জা কারীদের আশঙ্কা, এই সময় আরও বাড়তে পারে।
টেলিভিশন মেকআপম্যান সমিতির সভাপতি এবং ফিল্ম মেকআপম্যান সমিতির সহসভাপতি রূপসজ্জাকারী মোহম্মদ আলী বাবুল বলেন, ‘আমরা যারা শিল্পী, আমাদের ছোঁয়ায় যারা সুন্দর হন, তারাও আমাদের দুর্দিনে সাহায্য করছেন না। করোনার কারণে আমাদের কাজ বন্ধ। কবে কাজ শুরু হবে আমরা জানি না। এই বিপদে কোনো তারকা আমাদের অসচ্ছল সহকর্মীদের পাশে নেই। অথচ শুটিং সেটে দেখলেই আমাদের “গুরু” বা “ওস্তাদ”বলেন। তাঁদের আমরা একটা পরিবার ভাবি। তারকারা কাজ শেষ হলে ফিরেও তাকান না।’
নাম না প্রকাশ অনিচ্ছুক সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘আমাদের এখন অনেক খারাপ সময় যাচ্ছে। সব সময় চিন্তা করতে হয় খাওয়া–পরা নিয়ে। আমরা সরকারি চাকরি করি না। নিজেরা আয় করে জমাতে পারি না। আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বিপদে পড়লে কেউ আমাদের দেখে না। আমরা যে শিল্পীদের নিজস্ব দায়বদ্ধতা নিয়ে সব সময় কাজ করি, অথচ এই শিল্পীরা আমাদের এই দুঃসময়ে কেউই এগিয়ে এলো না।’
রূপসজ্জাকারী সুজন হোসেন বলেন, ‘আমরা দিন আনি, দিন খাই। যা আয় হয় সবই খরচ হয়ে যায়। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কোনো অর্থ জমা থাকে না। অনেক কষ্ট করে আমাদের চলতে হয়। তারপর এই করোনায় আমরা চলার কোনো উপায় সামনে দেখছি না।’
রূপসজ্জাকারী মানিক হোসেন বলেন, ‘এফডিসিতে আমাদের শিল্পীদের পরিচালক ও প্রযোজকদের সংগঠন এবং অনন্ত জলিল কিছু সাহায্য করেছেন। আমাদের মধ্যে যেসব সচ্ছল মেকআপম্যান আছেন, যারা আমাদের গুরু, তারাও অসচ্ছলদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। শুটিং শুরু হলেই আমাদের এই দুর্দিন কাটবে বলে আমরা মনে করি।’