বিনোদন ডেস্ক : গায়ক-সংগীত পরিচালক ওয়াজিদ খান মারা গেছে ছয় মাস হয়েছে। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। হঠাৎ এই অভিনেতার পরিবারের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনলেন তার স্ত্রী কমলরুখ খান। তার অভিযোগ, বলিউডের গায়ক ওয়াজিদের পরিবার তাকে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
ইনস্টাগ্রামে এ বিষয়ে একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন তিনি। সেটি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ওয়াজিদ এবং তার পরিবারের লোকদের ধর্মান্ধতার জন্য আমরা কোনো দিন একটা পরিবার হয়ে উঠতে পারিনি।’
আনন্দবাজার অনলাইন কমলরুখের বরাতে জানিয়েছে, তার স্বামীর অকাল প্রয়াণের পরও তাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য জোর করছে ওয়াজিদের পরিবার।
সেই পোস্ট থেকে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই ওয়াজিদের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। কমলরুখ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও দূরত্ব বাড়তে থাকে। তাদের সন্তানের প্রতিও ওয়াজিদ উদাসীন হয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
পারসি পরিবারে বড় হয়ে ওঠা কমলরুখের শৈশব-কৈশোর ছিল অন্যরকম। শিক্ষা এবং স্বাধীন ভাবে ভাবনাচিন্তা করাকে উৎসাহ দেওয়া হতো সেখানে। কিন্তু বিয়ে হওয়ার পর তার সেই শিক্ষা এবং উদার ভাবনাচিন্তাই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
কমলরুখ এবং ওয়াজিদ ভালোবেসে ‘স্পেশাল মারেজ অ্যাক্ট’র মাধ্যমে বিয়ে করেছিলেন। এই আইন তাদের দু’জনকেই নিজেদের ধর্ম পালন করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি থেকে নানা রকম প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন তিনি।
কমলরুখ চান সারাদেশে ধর্মান্তর বন্ধের আইন আনা হোক, যাতে তার মতো আর কোনো নারীকে নিজের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপের মুখে না পড়তে হয়।
ভাইরাল হওয়া এই স্ট্যাটাসটি নিয়ে বলিউডেরও অনেকে মুখ খুলেছেন। ইতিমধ্যে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও এ বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে ট্যাগ করে একটি টুইট করেছেন বলেও জানিয়েছে আনন্দবাজার।
সান নিউজ/পিডিকে/এস