বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের ঝা চকচকে দুনিয়ে ছেড়ে ধর্মের পথ বেছে নিয়েছেন অভিনেত্রী সানা খান। এরপর সদ্য বিয়ে করেছেন গুজরাটের মুফতি আনাস খানকে। আর এই বিয়ের পর সানার উপলব্ধি, হালাল ভালবাসা এত সুন্দর আগে তিনি বুঝতে পারেননি।
ইনস্টাগ্রামে স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে সানা লিখেছেন, কখনও ভাবিনি হালাল ভালবাসা এত সুন্দর হতে পারে! তোমায় বিয়ে করার পর অনুভব করেছি। সব হালাল কাজেই পুণ্য হয়।
এর আগে ইনস্টাগ্রামে মেহেদিরাঙা হাতের ছবি দিয়েছিলেন সানা। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, আমার ভালবাসা পবিত্র না হলে এত উজ্জ্বল মেহেদির রং আসত না।
সেসময় সানা আরও লিখেছেন, আল্লাহর জন্যই একের অপরকে ভালবেসেছি, আল্লাহর জন্য বিয়েও করেছি। এই দুনিয়ায় আল্লাহ আমাদের একসঙ্গে রাখুন। জান্নাতেও যেন আবার মিলিয়ে দেন।
গত অক্টোবর মাসেই বিনোদন দুনিয়া ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সবাইকে অবাক করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক 'বিগ বস' প্রতিযোগী সানা খান। এরপর তার বিয়ের খবরে হতবাক হয়ে যান সবাই। গত ২০ নভেম্বর ভারতের গুজরাটের মৌলানা মুফতি আনাসকে বিয়ে করেন সানা।
পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সুরাটে ঘরোয়া আয়োজনের মাধ্যমে মুফতি আনাসের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সানা খান। বিয়ের অনুষ্ঠানে সানা পরেছিলেন সাদা গাউন, সঙ্গে হিজাব। আর মৌলানা মুফতি আনাসকে পরেছিলেন সাদা কুর্তা-পাজামা।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে ধর্মের পথে চলার জন্য অভিনয়ের রঙিন ভুবন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন সানা। হিন্দি, তামিল, তেলেগু ও কান্নাড়াসহ একাধিক ভাষায় নির্মিত ছবির এ অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্তে সে সময় অবাক হয়েছেন চলচ্চিত্র ভুবনের অনেকে।
সাবেক 'বিগ বস' রিয়েলিটি শোর এ প্রতিযোগী সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে জানান, বহু বছর ধরে বিনোদন জগতে আছি। যে খ্যাতি, অর্থ, সম্মান পেয়েছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু কিছুদিন ধরেই আমার মনে হচ্ছে কিসের জন্য এই খ্যাতি আর অর্থ উপার্জন? যেকোনো সময় মৃত্যু আসতে পারে। মানুষের কি এ বিষয়ে ভাবা উচিত না? মানবিকতার খাতিরে, নিজের প্রিয়জনদের জন্য বাঁচা উচিত না? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই আমি বুঝেছি, জীবন-মৃত্যুর এ দোটানাই শুধু জীবনের উদ্দেশ্য নয়। জীবনে মানুষের জন্য অনেক কিছু করার আছে। তাই বলিউড ছেড়ে ধর্ম সাধনার পথ বেছে নিয়েছি।
এ লেখায় অভিনয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি সানা খান অনুরোধ করেছেন, কেউ যেন তাকে আর পুরোনো পেশায় টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করেন এবং কোনো কাজের জন্য না ডাকেন। কারণ, জীবনের বাকি দিনগুলো তিনি ধর্মের আশ্রয়েই কাটাতে চান।
সান নিউজ/এসএম