বিনোদন ডেস্ক:
জামিন পেলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ ওরফে মিলা ও তার বাবা শহীদুল ইসলাম। বিয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণার অভিযোগে সাবেক স্বামী এস এম পারভেজ সানজারী মামলায় এ জামিন পেলেন তারা।
বুধবার (১১ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটনের ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মিলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর অভিযোগ তদন্তে পল্লবী থানাকে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম তদন্তের পর মিলা ও তার বাবার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের হাজির হতে সমন জারি করেন। সমনের পরিপ্রেক্ষিতেই তারা বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন পান বলে জানান মিলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএইচ তানভীর।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ মে মিলাকে তিনি বিয়ে করেন এস এম পারভেজ সানজারী। বিয়ের পর বুঝতে পারেন, মিলা বদমেজাজী, অহংকারী, নেশাগ্রস্ত ও অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী। এ কারণে তাদের দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। সেই সুযোগে মিলা ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর যৌতুক আইনে বাদীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ওই মামলায় বাদী গ্রেফতার হয়ে জামিন পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মিলাকে তালাক দেন। তালাক হওয়ার পর মিলা বাদীর বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে একটি কম্পিউটার ও একটি মোবাইল নিয়ে যান। এছাড়া বাদীর মোটরবাইকে জিপিএস ট্র্যাকার স্থাপন করে বাদীকে উত্ত্যক্ত ও অপমান করতে থাকেন। পরে বাদীকে হত্যার জন্য ২০১৯ সালের ২ জুন এসিড নিক্ষেপ করেন।
ওই ঘটনায় বাদী একটি মামলা করেছেন। পরে বাদী জানতে পারেন, তার সাবেক স্ত্রী মিলা ২০০২ সালের ৩১ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম নুরুল হুদার ছেলে আবির আহম্মেদকে বিয়ে করেছিলেন। মিলা ও তার বাবা শহীদুল ইসলাম ওই বিয়ের তথ্য গোপন করে তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এছাড়া প্রথম বিয়েতে জন্ম তারিখ ১৯৮৪ সালেল ২৬ মার্চ উল্লেখ করলেও বাদীর সঙ্গে বিয়ের সময় ১৯৮৫ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করেন।