বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের সংগীতে রুপালি পর্দায় সোনালি কণ্ঠের গাওয়া রুনা লায়লার গান মিশে থাকবে আজীবন। এই প্রখ্যাত জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীত শিল্পীর জন্মদিন আজ।
মঙ্গলবার ( ১৭ নভেম্বর) এই দিনটি তিনি সব সময়ই ঘরোয়া আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকেন। তবে ছোট বেলায় এ দিনটির জন্য তিনি অপেক্ষায় থাকতেন।কারণ নতুন নতুন জামা-কাপড় উপহার পাবেন তাই। পরিবারের সদস্যদের বাইরে তেমন কেউ থাকত না জন্মদিনে। স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে পুরনো দিনের কথা। এখন তার বাবা নেই, মা নেই, বোন দীনা লায়লাও নেই।
জন্মদিন এলেই যে শুধু তাদের মিস করেন এমনটি নয়। নীরবে একা একা ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়ে। মনের অজান্তেই হয়তো চোখের কোণে পানি চলে আসে। এবার করোনা পরিস্থিতিতে জন্মদিন ঘিরে কোনও আয়োজনই থাকছে না।
১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীত শিল্পী। রুনা লায়লার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।
সংগীতভুবনে পাঁচ দশক পার করেছেন তিনি। ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান কণ্ঠে তুলেছেন। সংগীত জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (সাত বার), বাচসাস পুরস্কার, ভারতের সায়গল পুরস্কার, পাকিস্তানের নিগার পুরস্কার, গ্র্যাজুয়েট পুরস্কার, জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদকসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ব্যক্তিজীবনে তার কোনো অপ্রাপ্তি নেই। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসা, যে শ্রদ্ধা পেয়েছি, তা আমার কাছে পুরস্কারের চেয়েও অনেক বড়।
জন্মদিন ঘিরে কোনো আয়োজন না থাকলেও ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে রুনা লায়লার সুরে ‘এই দেখা শেষ দেখা’ গানের মিউজিক ভিডিও। গানের কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সংগীতায়োজন করেছেন রাজা ক্যাশেফ। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লুইপা।
সান নিউজ/এসএ