বিনোদন ডেস্ক:
স্বামী অনিক মাহমুদকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। সংসারে দুজনের বনিবনা না হওয়ায় সাত বছরের দাম্পত্যের ইতি টানছেন তারা। গত ২৬ জানুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাবনূর ও তার আইনজীবী।
শাবনুর জানান, নিজের সই করা নোটিশটি আইনজীবী কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিক মাহমুদের কাছে পাঠান তিনি। অনিক ছাড়াও এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে চিঠিটি।
নোটিশে শাবনূরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর। তালাকের কারণ হিসেবে ‘বনিবনা হয় না’ বলে জানানো হয়। এই তালাক নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন।
শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন। সিডনি থেকে তিনি বলেন, ‘বনিবনা হচ্ছিল না তাই সংসারে বিচ্ছেদ চেয়েছি।’
তালাকের চিঠিতে শাবনূর বলেছেন, ‘আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।
একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না, উল্টো নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। চেষ্টা করেও এসব থেকে তাকে ফেরাতে পারিনি। বরং আমার সন্তান এবং আমার ওপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মনে হয় তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না।’
এদিকে আইনজীবী কাওসার আহমেদ জানিয়েছেন, তালাক পত্রটি প্রেরণের ৯০ দিন পর কার্যকর হবে।
২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভালোবেসে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন শাবনূর ও অনিক মাহমুদ। বিয়ের পরের বছরই ২৯ ডিসেম্বর এই দম্পতির ঘর আলোকিত করে আসে ছেলেসন্তান।