বিনোদন প্রতিবেদক : জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন সম্প্রতি অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে তিনি দ্বৈতকণ্ঠ দিয়েছেন ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামের একটি গানে। পার্থ বড়ুয়ার সংগীত পরিচালনায় যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে। গানটির সুবাদে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন চঞ্চল-শাওন।
এরপরই গানটি নিয়ে যত বিতর্ক। এর মেধাস্বত্ব দাবি করে অভিযোগ করেন সরলপুর ব্যান্ডের সদস্যরা। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গানটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পরই তা ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। তারপরও থেমে নেই আলোচনা-সমালোচনা।
গানটি প্রসঙ্গে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি প্রকাশের পরপরই দারুণ সাড়া ফেলে। কিন্তু হঠাৎ গানটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। পরে জানলাম, এর মেধাস্বত্ব নিয়ে অভিযোগ করেছে সরলপুর ব্যান্ডের সদস্যরা। এটি তাদের গান, শুনে অবাক হয়েছি। শৈশবে অনেকবার এই গান শুনেছি, এর সঙ্গে নেচেছিও। আমি জানি গানটি সংগৃহীত। তাই এতে কণ্ঠ দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইউটিউবে গানটির ২৫টির মতো ভার্সন আছে। আমি নিজে দেখেছি। সবখানেই লেখা সংগৃহীত। সরলপুরের গান এটি- কোথাও পাইনি। কোনো জায়গায় গীতিকার-সুরকারের নাম ছিল না। সে কারণে সবাই ভেবে নিয়েছে, এটি প্রচলিত গান। সেই হিসেবে আমরাও এটিতে কণ্ঠ দিয়েছি।’
সরলপুর ব্যান্ডের পক্ষ থেকে কেউ কি যোগাযোগ করেছিলো? জানতে চাইলে শাওন বলেন, না, ‘আইপিডিসি আমাদের গান’র ব্যানারে গানটি প্রকাশের পর ফেসবুকে তারা প্রতিবাদ দিয়েছে। আমরা অফিসিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। আমি একজন শিল্পী। তারাও শিল্পী। সহকর্মীর জায়গা থেকে তারা একটা ফোন করতে পারতেন কিংবা মেসেজ দিয়ে জানাতে পারতেন। ভুল বোঝাবুঝি থাকলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেত। এভাবে অভিযোগ করে ইউটিউব থেকে নামিয়ে দেওয়া দুঃখজনক।
তারা কিন্তু অনেক আগে থেকে গানটির কপিরাইট নিয়ে রেখেছেন প্রসঙ্গে শাওন বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, মৌলিক গানের কপিরাইট হয়। এই গানটি আমি ছোটবেলা বহুবার শুনেছি। এটি একটি লোকজ গান, এর কপিরাইট কীভাবে তাদের; বিষয়টি আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে। বাংলার মাটির গান বা বাউল গান কারও একক সম্পত্তি নয়। আমি মনে করি, এগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। আশা করি, শিগগিরই এর সুষ্ঠু একটি সুরাহা হবে।’
সান নিউজ/এম/এস