বিনোদন ডেস্ক : পুজা মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ‘নো এন্ট্রি’র নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে সেলিব্রিটি ক্লাব সদস্য না হয়েও অষ্টমীর সকালে মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দিয়েছেন।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দক্ষিণ কলকাতার সুরুচি সংঘের পূজামণ্ডপে মহাষ্টমীর অঞ্জলিও দেন তারা। মণ্ডপে তাদের ঢাকের তালে নাচতেও দেখা যায়। আর এতেই আইনি জটিলতায় পড়তে যাচ্ছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
তাদের বিরুদ্ধে এবার আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন মামলাকারী অজয় কুমার দের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। বাংলাদেশি অভিনেত্রী স্ত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে নিয়ে পূজা মণ্ডপে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়। শুধু সৃজিত মুখোপাধ্যায় নয়, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও নুসরাত জাহানও রয়েছেন এই তালিকায়।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) অষ্টমীর সকালে অনেককেই মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দিতে দেখা গিয়েছে। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের জানান, “হাইকোর্টের নির্দেশনা সকলের মেনে চলা উচিত। তাছাড়া কেউ যদি জনপ্রতিনিধি হন, নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে তার দায়িত্বটা আরও বেড়ে যায়। আমরা সবটাই নজরে রাখছি। যারাই নির্দেশ অমান্য করবেন, তাদের ক্ষেত্রেই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
এদিন সকালে সুরুচি সংঘের পূজামণ্ডপে অঞ্জলি দিতে দেখা যায় অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরাত জাহান ও তার স্বামী নিখিল জৈনকে। এছাড়াও মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দিয়েছেন আরেক সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। সব্যসাচীর মতে, “নুসরাত জাহান বা মহুয়া মৈত্র– যে কেউ অঞ্জলি দিতেই পারেন যদি তিনি পুজা উদ্যোক্তা হন বা সদস্য হন। কিন্তু আমরা যতদূর জানতে পেরেছি নুসরাত জাহান ওই এলাকার বাসিন্দা নন। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানাব এবং আইনি নোটিশ পাঠাব। তাছাড়া মহুয়া মৈত্রর কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না। তিনি একাধিক সাংবিধানিক মামলায় নিজে অংশগ্রহণ করেছেন।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, মণ্ডপ বা নো এন্ট্রি জোনে পুজা উদ্যোক্তা, পুরোহিত ও ঢাকিরা ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। পুজা উদ্যোক্তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে সংখ্যা নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন আদালত। বড় পুজার ক্ষেত্রে একসঙ্গে ৪৫ এবং ছোট পুজার ক্ষেত্রে একসঙ্গে ১৫ জনের প্রবেশের অনুমতি ছিল। সেই সঙ্গে কারা, কতদিন প্রবেশ করবেন সেই সংক্রান্ত তালিকা সকাল ৮টার মধ্যে মণ্ডপে ঝোলানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন আদালত। আদালতের নির্দেশ মানা হয়েছে কিনা লক্ষ্মীপুজার পর রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রিপোর্ট দিয়ে তা জানাতে হবে। সূত্র: জি নিউজ, আনন্দবাজার।
সান নিউজ/এসএ/এস