বিনোদন ডেস্ক : জয়া আহসান দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী । করোনার কারণে আছেন দেশেই, যাওয়া হচ্ছে না কলকাতায়। দীর্ঘসময় ধরে তিনি মিস করছেন যোধপুর পার্কে তার ঘর। মিস করছেন ওপার বাংলায় তার সহকর্মী, বন্ধুদের। এবার তিনি জানালেন, কলকাতার পূজার উৎসব আমেজ মিস করবেন তিনি। ভারতের প্রভাবশালী বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন জয়া।
জয়া আহসান বলেন, ‘শেষ কিছু বছর ধরে আমার কাছে পূজার আনন্দ মানে ছবি রিলিজ। সৃজিতের যে কটা ছবি আমি করেছি, সেগুলো পূজায়ই মুক্তি পেয়েছে। বড় হওয়ার পরে এটাই আমার কাছে পূজার মূল আকর্ষণ ছিল। এবার পূজা কেমন কাটবে জানি না।’ তিনি বলেন, কলকাতা ছাড়া পূজা ভাবতেই পারি না। ঢাকায়ও পূজা হবে। তবে ঠাকুর দেখতে যেতে পারব কি-না জানি না। আমাদের সবচেয়ে বড় পূজা হয় বনানীর মণ্ডপে। প্রচুর লোকজন আসেন সেখানে। তবে এবার তা কতটা হবে জানি না। হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠাকুর দেখতে হবে।’
জয়া আনন্দবাজারকে বলেন, ‘পূজা আর মৃত্যুর কোলাহল পাশাপাশি এসে দাঁড়িয়েছে। কোভিড আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমাদের সংযমী হতে শিখিয়েছে। আমাদের অপচয় কম করতে শিখিয়েছে। পূজা মানেই তো আমাদের বাহুল্যের খরচ, জামা-কাপড়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে। এখন থেকে না হয় আমরা সামঞ্জস্য রেখে সব করি। সে জীবনই হোক বা ফ্যাশন। এটাই না হয় হোক এবার পূজার নতুন ভাবনা!’
জয়া আরও বলেন, ‘আম্ফানের (ঘূর্ণিঝড় আম্ফান) সময় খুব ভেঙে পড়েছিলাম। কাছে যেতে পারছিলাম না। দূর থেকে ওই দৃশ্য দেখা… এখন তো শুনছি ভারতের অবস্থাও সঙ্গীন। যে মানুষগুলোর সঙ্গে রোজ কাজ করেছি, তাদের কী অবস্থা? খুব আকুল হয়ে আছি। সিনেমা হল খুলল। পূজার আগে এটা সত্যি আনন্দের!’ পূজার শাড়ি নিয়ে জয়া বলেন, ‘সংযমের কথা মনে আছেই। কিন্তু পূজা আসবে আর আমি শাড়ির কথা ভাবব না? মন থেকে কি সব মুছে ফেলা যায়? সেদিন আমি ইন্টারনেটে দেখছিলাম কী কী ভালো শাড়ি এসেছে এবার। পূজায় আমি বাংলাদেশের শাড়িই পরি। আমার মসলিন খুব প্রিয়, সুতিও পছন্দের। প্রত্যেক বছর চার-পাঁচটা জায়গা থেকে শাড়ি উপহার পাই। এবার কী হবে কে জানে! শুধু তো শাড়ি হলেই হবে না। সবদিক থেকেই প্রস্তুত হতে হবে।’
সান নিউজ/পিডিকে/এস