বিনোদন প্রতিবেদক:
অনেকেই বলেছিলেন বিয়েটা টিকবে না। এ নিয়ে ভীষণ মন খারাপও হতো। তারপরও নিজের সিদ্ধান্তে অটুট থেকে বিয়েটা করেই ফেলেন শবনম ফারিয়া। এরপর ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে পথচলার দুইবছর পার করলেন তিনি।
২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিয়ের ঘোষণা দেন তিনি। এরপর পারিবারিকভাবের জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে হারুনুর রশীদ অপুকে বিয়ে করেন তিনি।
ফারিয়ার মতে, ছয় মাস টিকবে না বলেছিল যে সংসার, সেটি কীভাবে জানি দুই বছর টিকে গেল। এ নিয়ে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট করে ফারিয়া।
এর আগে ২০১৫ সালে শবনম ফারিয়া ও অপুর বন্ধুত্ব হয় ফেসবুকে। এরপর ফেসবুকে কথা বলতে বলতে দুজনের ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। একটা পর্যায়ে দুজনকে দুই পরিবারের সবার পছন্দ হয়। এরপর বিয়ের কাজটি সেরে নেন তারা।
দুই বছর পার করে ফারিয়ার দেওয়া ফেসবুক পোস্টটি ছিল, ‘৬ মাসও টিকবে না বলা বিয়েটা কীভাবে কীভাবে জানি ২ বছর টিকে গেল! সব ভুলে যাওয়া, দায়িত্ব থেকে পালানো, জিদ্দি ছেলেটা আজকাল স্বামী হয়ে ওঠার প্রবল চেষ্টা করছে। আর আমার রাগ এবং ধৈর্যের পরিমাণ শান্তিনগর থেকে উত্তরার রাস্তার জ্যামের মতো প্রতিদিন বেড়েই যাচ্ছে, আজকাল আমার ইউটিউবের সার্চ স্টোরিতে নাটকের পরিবর্তে রান্নার ভিডিওই বেশি পাওয়া যায়! কীভাবে নতুন বাসা সাজাব কিংবা কী কী কিনব, সেই তালিকা করতে করতে রাতও মাঝে মাঝে শেষ হয়ে যায়। কী মুভি দেখব, তা ঠিক করতে করতে ঘুম চলে আসে! কোথায় খেতে যাব ঠিক করতে করতে সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ হওয়ার সময় এসে পড়ে! কী পরে বের হব ঠিক করতে করতে মুভির সময় পার হয়ে যায়! দাওয়াতে কী নিয়ে যাব, ঠিক করতে করতে দাওয়াতেরও সময় পার হয়ে যায়! আমরা এমনই, আমি সব প্ল্যান করে করতে চাই।’ আর সে বলে, ‘গো উইথ দ্য ফ্লো।’
আমি মালদ্বীপের সমুদ্রের পাড়ে নিরিবিলি বসে থাকতে চাই, আর সে ব্যাংককে পার্টি করতে যেতে চায়। আমি যখন শুক্রবারে বিকেলে রিকশায় ঘুরতে চাই, আর সে বিছানায় শুয়ে পাবজি খেলায় মনোনিবেশ করতে চায়। আমরা ভিন্ন, কিন্তু দুজন মিলে “এক”। অনেক অভিমান, অনেক খুনসুটি, শুধুমাত্র ঝগড়া এড়িয়ে থাকার জন্য বহু বহু দিন কথা না বলে থাকা। তারপরেও “আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ”।’