বিনোদন ডেস্ক : ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন নায়িকা পরীমণি।
আরও পড়ুন : অভিনয়কে বিদায় জানালেন তামিম
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রোববার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করে সকালে জামিন আবেদন করেন পরীমনি।
মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমনি ও তার সহযোগীরা ঢাকা বোট ক্লাবে ঢুকে ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমনি তাকে ডাক দেন। পরে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি হত্যাচেষ্টার জন্য একটি গ্লাস ছুড়ে মারেন, যা তার মাথায় ও বুকে লাগে।
আরও পড়ুন : ঢাকায় মঞ্চ মাতাবে কাভিশ
মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের এপ্রিলে পরীমনি ও ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।
পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জুনায়েদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধর করার অভিযোগের সত্যতা তদন্তে পায় পিবিআই। অপর দিকে পরীমনির ছোড়া মদের গ্লাসে নাসিরের আঘাত লাগার ঘটনার সত্যতাও পেয়েছে পিবিআই।
এদিকে ২০২১ সালের ৮ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে পরীমনি ব্যবসায়ী নাসিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেছিলেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ তিন আসামির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠন করেন। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ। এ মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
সান নিউজ/এমআর