সম্প্রতি দেশের বেশ কয়েক জন শিল্পীর আয়কর ফাঁকির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এদের মধ্যে নাটকের শিল্পীদের সংখ্যাই বেশি। প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়, সম্প্রতি কয়েকজন অভিনেতা বিএনপির এক নেতার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে মিলে সিন্ডিকেট গড়ে তাদের পারিশ্রমিক বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এনবিআর সন্দেহের তীর ঢাকাই চলচ্চিত্র, নাটক এবং সংগীতাঙ্গনের ৬৫ শিল্পীর দিকে। তাদের সবার বিরুদ্ধেই রয়েছে কর ফাঁকিসহ বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ। এনবিআরের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিল্পীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনও তদন্তে নামছে বলে খবর।
অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি সূত্র জানায়, কিছু শিল্পীর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। যারা ভারতসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডায় কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। অনেকেই প্রতি বছর একাধিক বার বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে বিপুল অংকের অর্থ খরচ করেন। এমন কিছু অভিনয়শিল্পী আছেন, যারা একদমই আয়কর দেন না। অথচ নিজেরা দামী গাড়ীতে চড়েন, বিলাসী জীবন যাপন করেন। ঢাকায় তাদের কারো কারো কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট আছে।
সূত্রটি বলছে, মাঝারি সারির একজন অভিনয়শিল্পী দৈনিক দশ হাজার টাকা আয় করলেও তাদের প্রতিমাসে গড়ে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয়। যাদের এক পর্বের নাটকে কাস্ট করা হয় না বা যাদের বাজার পড়ে যায়, তারা ধারাবাহিক নাটকে নিয়মিত হন। যদিও তখন তাদের পারিশ্রমিক কমে যায়। তবু মাসে ২০ দিন কাজ করতে পারলে তারা বছরে ৮-১০ লাখ টাকা আয় করেন। কিন্তু তাদের কেউই আয়কর রিটার্নের ১০ ভাগের একভাগও দেখান না।
আবার মাঝারি সারির এমন কিছু নারী অভিনয়শিল্পী আছেন, যাদের দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান মিলিয়ে প্রতিমাসে গড় আয় দশ লাখ টাকারও বেশি। ঢাকা শহরেই তারা কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাটে থাকেন। ঢাকা এবং অন্যান্য শহরে তাদের বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকানসহ নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তারা বিলাসী জীবন যাপন করছেন।
এসব অভিনয়শিল্পীদের আবার কারো কারো ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির হোতাদের সঙ্গে দহরম-মহরমের পাশাপাশি মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গেও নাকি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এসব অভিনয়শিল্পীদের সম্পর্কে এরই মাঝে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে দুদক।
সান নিউজ/পিডিকে