বিনোদন ডেস্কঃ
সরকার প্রতিবছর কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দিয়ে থাকে। সম্প্রতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া ছবির নাম ঘোষণা করা হয়। এই তালিকায় ‘হৃদিতা’ নামে ছবির নাম রয়েছে। কিন্তু ছবিটি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন জাদুরকাঠি মিডিয়ার কর্ণধার চিত্রপ্রযোজক মো. মিজানুর রহমান।
অনিয়ম এবং অনুদানের শর্ত ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘হৃদিতা’ ছবির প্রযোজককে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর)। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ছবির অনুদান বাতিল ও শুটিংসহ যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিতের জন্য তথ্য সচিব এবং ছবি সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে নোটিশ দিয়েছেন জাদুকাঠি মিডিয়ার কর্ণধার মো. মিজানুর রহমান।
তার পক্ষে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী। ২৪ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ই-মেইলে পাঠানো ওই নোটিশে একই সঙ্গে হৃদিতার জন্য ইতোমধ্যে ছাড়কৃত অনুদান ফেরত এবং অনুদানের মতো সরকারের একটি মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘হৃদিতা’ মূলত ‘সময়’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত লেখক আনিসুল হকের একটি উপন্যাস। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৫০ হাজার টাকা সম্মানীর বিনিময়ে প্রযোজক মিজানুর রহমানকে এককভাবে ‘হৃদিতা’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের লিখিত অনুমতি দেন। ওইদিন মিজানুরের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাদুকাঠি মিডিয়ার অফিশিয়াল প্যাডে আনিসুল হক স্বহস্তে লেখেন- ‘জাদুকাঠি’ মিডিয়াকে আমার উপন্যাস সময় প্রকাশনীর ‘হৃদিতা’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হলো।
নোটিশে আরও বলা হয়, অনুদান নীতিমালা ২০২০ অনুসারে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য অনুদানের জন্য বিবেচিত হয় না। তাছাড়া অনুদানের আবেদনপত্রের সঙ্গে লেখকের অনুমতিপত্র দাখিল করতে হয়। এই দুই ক্ষেত্রেই অনুদানপ্রাপ্ত ‘হৃদিতা‘ ছবির পরিচালক বা প্রযোজক নিশ্চিতভাবে প্রতারণা ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। এসব অবৈধতার কারণে ‘হৃদিতা’র অনুদান বাতিল যোগ্য।
নোটিশে অন্যদের মধ্যে চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সভাপতি তথ্যমন্ত্রী, সহ-সভাপতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী, সদস্য এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনুদানপ্রাপ্ত ছবি ‘হৃদিতা’র পরিচালক প্রযোজক এমএন ইস্পাহানী ও পরিচালক আরিফ জাহানকে পক্ষভুক্ত করা হয়।