বিনোদন ডেস্ক:
মাদক তদন্তে দীপিকা পাড়ুকোন এবং শ্রদ্ধা কাপুরের পর এবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) দপ্তরে গেলেন সাইফ আলী খানের কন্যা অভিনেত্রী সারা আলি খান।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা একটায় মুম্বাইয়ে এনসিবি’র এসআইটি অফিসে প্রবেশ করতে দেখা যায় তাকে। ওই একই অফিসে জেরা চলছে শ্রদ্ধা কাপুরেরও।
বেলা ১২টায় মুম্বাইয়ে এনসিবি’র এসআইটি অফিসে পৌঁছান শ্রদ্ধা। অন্য দিকে এ দিন সকাল ১০টায় মুম্বাইয়ের কোলাবা অ্যাপোলো বন্দরের এভ্লিন গেস্ট হাউজে জেরা শুরু হয় দীপিকার। যদিও স্বামী রণবীরকে তার সঙ্গে দেখা যায়নি।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দীপিকা আজ সময়মতো হাজির হলেও দেরিতে পৌঁছান সারা এবং শ্রদ্ধা। এ দিন সকাল ১১টায় এনসিবি'র দফতরে পৌঁছানোর কথা ছিল শ্রদ্ধা-সারার। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটির থেকে ঘণ্টা খানেক সময় চেয়ে নেন দু'জনেই। এর পর বেলা ১২টা নাগাদ এনসিবি'র দফতরে পৌঁছান শ্রদ্ধা। সারা আসেন তারও এক ঘণ্টা পর।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সারা এবং শ্রদ্ধা দু'জনেই আজ সকালে তাদের পারিবারিক আইনজীবীর সঙ্গে মিটিং করেছেন। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দীপিকা এবং রণবীর তাদের আইনজীবীদের সাথে দেখা করেছেন।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের হত্যার তদন্তে যে মাদক যোগ উঠে এসেছে, তাতে দীপিকার পাশপাশি উঠে এসেছে শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলি খান এবং রাকুল প্রীত সিংহের নামও। সেই কারণেই গত ২৩ সেপ্টেম্বর বলিউডের ওই চার অভিনেত্রীকে সমন জারি করেছিল এনসিবি।
গতকাল (২৫ সেপ্টেম্বর) রাকুলকে চার ঘণ্টা জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি। জেরায় রাকুল জানিয়েছেন, রিয়ার সঙ্গে তার যে মাদক সংক্রান্ত চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে তা সত্যি। তবে তিনি নিজে কোনওদিনও মাদক নেননি।সুশান্তের প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহার সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুরের মাদক সংক্রান্ত একটি চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই এনসিবি’র নজরে আসেন শ্রদ্ধা। সেই চ্যাটে জয়া শ্রদ্ধাকে লিখেছিলেন, “সিবিডি অয়েল তোমার জন্য সংগ্রহ করে রেখেছি। পাঠিয়ে দেব?”। প্রত্যুত্তরে শ্রদ্ধা লেখেন, “ধন্যবাদ। আমি এসএলবির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী। “
খুব সম্ভবত এসএলবি মানে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালীর কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। আর জয়া শ্রদ্ধার জন্য যে বস্তুটি কিনে রাখার কথা বলেছিলেন তা হচ্ছে গাঁজা থেকে নিঃসৃত তেল জাতীয় পদার্থ। পুরো নাম ক্যানাবিডিয়ল।
অন্যদিকে এনসিবি সূত্রে খবর, মাদকযোগে সারার নাম প্রথম প্রকাশ্যে আনেন রিয়া চক্রবর্তী। রিয়া জেরায় বলেন, ‘কেদারনাথ’ শুটের সময়েই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সুশান্ত। তখন থেকেই তিনি নাকি সিগারেটের মধ্যে গাঁজা পুরে খাওয়ার অভ্যাস করেছিলেন। প্রসঙ্গত ওই ছবিতেই সুশান্তের বিপরীতে ছিলেন সারা। যদিও রিয়ার আইনজীবীর বক্তব্য এনসিবি’র জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর মক্কেল কোনও বলিউড স্টারের নাম নেননি।
তবে দীপিকা, সারা, শ্রদ্ধা অথবা রাকুল, কারও বিরুদ্ধেই এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তদন্তের প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/ বিএম/ এআর