বিনোদন ডেস্কঃ
মাদককাণ্ডে হাজিরা দিতে মুম্বাইয়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) দফতরে দীপিকা পাড়ুকোন। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তার। দীপিকাকে মুম্বাইয়ের কোলাবা অ্যাপালো বন্দরের এভলিন গেস্ট হাউসে জেরা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এনসিবি দফতরে পৌঁছে যান তিনি। তবে এসময় স্বামী রণবীর সিংকে তার সঙ্গে দেখা যায়নি। ওই একই মামলায় এদিন এনসিবির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা আছে অন্য দুই অভিনেতা সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কাপুরেরও। তাদের বালাড এস্টেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রায় সাত ঘণ্টা জেরা করা হয় দীপিকার ম্যানেজার কারিশ্মা প্রকাশকেও। তাকে আজ শনিবারও ফের ডাকা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, দীপিকা আর কারিশ্মাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে এনসিবি।
বলিউড আর মাদকের সম্পর্ক যে কতটা গভীর, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) তদন্তে তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার পরপর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হতে থাকে এনসিবির দফতর থেকে। অভিনেত্রী রাকুলপ্রীত সিং স্বীকার করে নিয়েছেন তার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত মাদকের মালক চক্রবর্তী। রিয়ার সঙ্গে তার নিয়মিত মাদক সংক্রান্ত কথা হত বলেও স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, রিয়া মাদক কিনে রাকুলের বাড়িতে রাখতেন। তবে রাকুল নিজে কখনও মাদক সেবন করেননি। প্রায় চার ঘণ্টা রাকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনসিবি। তার আগে গত বৃহস্পতিবার অভিনেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল তারা।
নারকোটিক্স ব্যুরো জানিয়ে দেয়, বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন আর কেউ নন, দীপিকা পাদোকোন। তিনিই ওই মাদক গ্রুপ তৈরি করে নানা সদস্যকে যোগ করেছিলেন। দীপিকা ও সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা গ্রুপের আরেক অ্যাডমিন। দীপিকার ম্যানেজার কারিশমা প্রকাশ ছিলেন গ্রুপের অন্যতম সদস্য।
সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাকে পরপর তিনদিন জেরা করেছে এনসিবি। এদিকে, জয়া নাকি নানা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট এনসিবিকে দেখিয়ে মাদক সরবরাহের পদ্ধতি খোলসা করেছেন। জয়ার দাবি, তারকাদের মাদক জোগানোর কাজটা করতেন কারিশমা। তার এবং দীপিকার মাদকযোগ কত গভীর, দীপিকার জেরার পরে আরও স্পষ্ট হবে।
সান নিউজ/ বিএম