নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলা সিনেমা। প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ ছিল শুটিং। তবে বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বর্তমানে শুটিং চালু হয়েছে। কিন্তু বন্ধ থাকা সিনেমা হল নিয়ে এতদিন কোনো সিদ্ধান্তের কথা শোনা যায়নি।
আশার কথা এই যে, দীর্ঘ ছয় মাস ২৭ দিন পর অবশেষে খুলতে চলেছে সিনেমা হল। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে দেশের সকল প্রেক্ষাগৃহ খুলে দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রেক্ষাগৃহ মালিক সমিতির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তর কথা জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়া আলাউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরফুদ্দিন এলাহী সম্রাট।
এর আগে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই তথ্যমন্ত্রী জরুরি মিটিং করেন হল মালিক সমিতির সঙ্গে। তখন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হল মালিকদের কোনো প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে না। তবে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। মন্ত্রীর কথায় সায় দেন প্রদর্শক সমিতির নেতারা। তারা বলেন, ‘স্বল্প সুদে ঋণ প্রণোদনার চেয়ে বড় কিছু। প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’
করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলা সিনেমা। প্রায় পাঁচ মাস শুটিং বন্ধ ছিল। বর্তমানে শুটিং চালু হয়েছে। কিন্তু বন্ধ আছে সিনেমা হল। এতে কর্মহীন দিন কাটাচ্ছেন সিনেমা পাড়ার লোকজন। বিশেষ করে হল সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীদের অবস্থা একেবারেই করুণ।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৮ মার্চ দেশের সকল সিনেমা হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তাতে একেক করে পিছিয়ে যায় সিনেমার মুক্তি। এছাড়া নতুন নতুন সিনেমা পড়ে শিডিউল জটিলতায়। তবে একটু দেরিতে হলেও সিনেমা হল খোলার সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সিনেমাপাড়ায়।