বিনোদন ডেস্ক : ঢালিউডের নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার রায় আজ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন : প্রথম ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন ৪১৩ হজযাত্রী
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২৫ বছর আগে খুন হওয়ার পরের বছর আশীষ রায় চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযুক্ত এ মামলার ৯ আসামির মধ্যে পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে আছেন সানজিদুল ইসলাম ইমন। জামিনে আছেন আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন ও ফারুক আব্বাসী।
পলাতক আসামিরা হলো- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজ, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান ও আদনান সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন : ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ
২০০১ সালে বিচার শুরুর আদেশ হয়। এক আসামি ওই আদেশ চ্যালঞ্জ করে উচ্চ আদালতে গেলে আটকে যায় বিচারকার্য। এরপর উচ্চ আদালতের আদেশে আবার বিচারকার্য ২০২২ সালে শুরু হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি।
রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে উঠে আসে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নাম।
আরও পড়ুন : রেড কার্পেটে রূপকথার পরী আলিয়া
আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও সোহেল চৌধুরীর মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মির্জা মাহাফুজ আদালত ও পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ১৬১ ধারার জবানবন্দিতে তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই রাত ১০টার দিকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাবে যান তিনি। তখন ক্লাবে আসেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। আজিজ মোহাম্মদ তার স্ত্রীকে গান গাইতে বলেন। অন্যদিকে সোহেল চৌধুরী ও তার কয়েক বন্ধু গান থামাতে বলেন। একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী ও তার দলের লোকজন মাহাফুজের টেবিলের সামনে আসেন। তখন তারা আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পাশে বসা এক নারীকে উঠে আসতে বলেন। ওই নারী না উঠলে সোহেল চৌধুরী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মারতে যান।
প্রসঙ্গত, সোহেল চৌধুরীকে কীভাবে গুলি করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে অভিযোগপত্রে বলা হয়, সেদিন সোহেল চৌধুরী ক্লাবে ঢুকতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁকে ক্লাবে ঢোকার অনুমতি না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে রাত ৩টার দিকে সোহেল চৌধুরী আবার ক্লাবের সামনে আসেন। তখন পেশাদার খুনিদের দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সান নিউজ/এমআর