বিনোদন ডেস্কঃ
অভিষেক ছবিতেই সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন দেশের নামকরা চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের একমাত্র ছেলে অভিনেতা কাজী মারুফ। সম্প্রতি, বাবার মতো তিনিও আত্মপ্রকাশ করেছেন পরিচালক হিসেবে। চলতি মাসেই নাম প্রকাশ না করা একটি ছবির শুটিং শুরু করবেন তিনি।
সম্প্রতি ‘জীবন যেখানে যেমন’ নামে একটি অনলাইন আড্ডায় হাজির হয়ে সেই ছবি, তার চলচ্চিত্র ভাবনা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। তিনি বলেন, ‘আমার শরীরে ফিল্মের রক্ত বইছে। এই চলচ্চিত্রের ভেতর দিয়েই আমার বেড়ে ওঠা। তাই চলচ্চিত্রের বাইরে আমি কখনোই কিছু ভাবতে পারি না, ভাবতে চাইও না।’
তার পরিচালনায় প্রথম ছবি সম্পর্কে মারুফ বলেন, ‘আমেরিকা প্রবাসীদের বাস্তবতা নিয়ে ছবিটির গল্প। সেখানকার উবার ড্রাইভারদের জীবনের গল্প থাকবে ছবিতে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের মোশন পিকচার্সের অন্তর্ভুক্ত হয়েই রিলিজ হবে।’
বেশ কয়েকটি হিট ছবি উপহার দেয়ার পরও চলচ্চিত্র ছেড়ে, দেশ ছেড়ে হঠাৎই আমেরিকা প্রবাসী হয়েছেন কাজী মারুফ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করে এখানে আসিনি। দেশে আমার কিছুই করার ছিল না। নানাভাবে আমাকে আটকে দেয়া হচ্ছিল। চলচ্চিত্রের নোংরা পলিটিক্স তো আমাকে আমার পরিবার শেখায়নি। তাই চলে এসেছি।’
চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলোর নানা তর্ক-বিতর্ক প্রসঙ্গে মারুফ বলেন, ‘চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট দর্শক। দর্শক কাউকে গ্রহণ করলে অন্যরা বয়কট করলেও তার কিছু হবে না। সহকর্মীদের ব্যাপারে পারস্পরিক হওয়া, তাদের পাশে দাঁড়ানো, এগুলো তো মানুষ হিসেবেই করা উচিত। তার জন্য সমিতির প্রয়োজন হয় না। সমিতি একটি মিলন কেন্দ্র মাত্র। এটাকে বড় ভাবার কিছু নেই।’
প্রসঙ্গত, কাজী মারুফের পরিচালনায় প্রথম ছবির পুরো শুটিং হবে আমেরিকায়। কলাকুশলীও থাকবে সেখানকার। ছবিটি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় মুক্তি দেয়া হবে। এ ছবির গল্প লিখেছেন আবদুল্লা জহির বাবু। শুটিংয়ের জন্য এরই মধ্যে নিউইয়র্কে নিজস্ব এডিট প্যানেল থেকে শুরু করে শুটিং হাউজসহ সবকিছুই গড়ে তুলেছেন কাজী মারুফ।