নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝালকাঠি: বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও কমিটি গঠন বিধিমালার ৮/৩ উপ-ধারা ভঙ্গ করে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেশাইনখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতনের অ্যাডহক ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, ম্যানেজিং কমিটি গঠনে গত ২২ জুলাই বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে মো. রাশেদুল ইসলাম, আনছার উদ্দিন হাওলাদার ও আফজাল হোসেনের নাম বোর্ডে পাঠানো হয়। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ ২৫ আগস্ট বিদ্যালয় থেকে পাঠানো তিনজনের নাম বাদ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত থানা আনসার অ্যাডজুডেন্ট ফজলুল করিমকে সভাপতি করে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে চিঠি দেয়। কমিটি গঠনের ৮/৩ উপ-ধারায় বলা আছে, ‘কোনো অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে সভাপতি করতে হলে তাকে প্রথম শ্রেণি গেজেটেড কর্মকর্তা হতে হবে। কিন্তু ফজলুল করিম প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ছিলেন না।
অ্যাডহক কমিটির কার্যবিধির মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার এখতিয়ার না থাকলেও ম্যানেজিং কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে রহস্যজনকভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় শিক্ষক-অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর সাপ্তাহিক চাকরির খবর পত্রিকায় ০৯ আগস্ট দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সূত্র উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হলেও
ওইদিনের যুগান্তরে এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। প্রথম সভায় শুধু পূর্ণাঙ্গ কমিটি নির্বাচন নিয়ে কথা হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার সুতার বলেন, ‘বিধি অনুসারে তিনটি নাম পাঠিয়েছিলাম। তাদের বাদ দিয়ে কমিটিতে সভাপতি পদে যেভাবেই হোক ফজলুল করিমের নাম এসেছে। শিক্ষাবোর্ড যে চিঠি পাঠিয়েছে, তা আমাদের বিদ্যালয় মানতে বাধ্য।’
অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না, কিভাবে সভাপতি হয়েছি। বোর্ড বলতে পারবে, আমার নাম কিভাবে এলো। চাকরির সঙ্গে এ পদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, চারজন সদস্যকে নিয়ে অ্যাডহক কমিটি ছয়মাসের জন্য গঠিত হয়। ৩৯ ধারা অনুসারে বোর্ড চেয়ারম্যান সভাপতি নিয়োগ দিতে পারেন। অ্যাডহক কমিটি রুটিন মাফিক কাজ করবে। তারা কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়ালে তা সম্পূর্ণ অবৈধ।