মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে হিজাব না পড়ায় শিক্ষার্থীদের চুল কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মাইসা জাহানসহ আরও ৬ জনের চুল কেটে নিলেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা রুমিয়া সরকার।
অন্যান্য শিক্ষার্থীরা হলেন- তানজিলা আক্তার, আনীলা আক্তার, তাসফিয়া, মাহাদিয়া, সুমাইয়া ও ইফাসহ ৭ শিক্ষার্থী হিজাব পড়ে না আসার কারণে তাদের চুল কেটে নেয়া হয় বলে জানান তারা। এ ঘটনায় উপজেলাটিতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে।
মাইসা জাহান বলেন, আমার একটাই হিজাব। ঐ হিজাবটা ময়লা হয়ে গেছে। তাই ধুয়ে দিয়েছি। এজন্য পড়ে যেতে পারিনি। ম্যাডামকে অনেক অনুরোধ করে বলেও আমি রক্ষা পাইনি। ম্যাডাম আমাদের চুল কেটে দিল।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের ফল প্রকাশ
মাইসা জাহানের পিতা কহিনুর বলেন, আমার মেয়ে অন্যায় করেছে বললেই হত, আমরা শাসন করতাম। তাকে চুল কেটে ন্যাড়া বানিয়ে দিল। এতে আমার মেয়েটা ভেঙ্গে পড়েছে ও আর স্কুলে যেতে চাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, বর্তমান সভাপতি ইঞ্জিনিয়র মো. গোলাম হোসেন সাহেব সভাপতি হওয়ার পর ছেলে মেয়েদের ড্রেসকোড চেঞ্জ করেছে। এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষকদের খুব চাপে রাখেন এবং এ বিষয়ে যে কোন এ্যাকশন নিতে বলেন।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারকে মোবাইলে চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ছুরিকাঘাতে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া মো. ফরিদ বলেন, ক্লাসেই কেচি ছিল। তাই হাতের কাছে পেয়ে এ কাজ করে ফেলেছে। তবে কাজটা অন্যায় করেছে। আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে সিরাজদীখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনা জেনেছি। ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করছি। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এনজে