ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় এবারও ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে এ বছর ১৫ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এতে জেলাবাসীর মনে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস।
আরও পড়ুন: শিক্ষককে হত্যা, আটক ৩
এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে এ তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এ তথ্র নিশ্চিত করেছে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ কলেজ থেকে প্রতিবছর উত্তীর্ণ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী শুধু মেডিকেল কলেজ নয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান।
এবারেই এই রেকর্ড পরিমাণ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা দেওয়া হলো না ১৪ শিক্ষার্থীর
চলতি বছর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পান ১৫১ জন। এর মধ্যে এবার ১৫ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল জলিল বলেন, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে বরাবরই এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করেন এই কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে এ বছর আমাদের কলেজ থেকে ১৫ জন শিক্ষাথী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে উৎসব শনিবার
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজটি উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ১৯৫৯ সালে বেসরকারিভাবে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও ১৯৬৩ সালে পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রী পাস কোর্স চালু করা হয় এ কলেজে। ১৯৮০ সালের ১ মার্চ এই কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়।
অত্র কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা এবং ডিগ্রী পাস (বিএ/বিএসএস/বিএসসি ও বিবিএস) কোর্সসহ ১৯৯৭-১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে ৪টি (অর্থনীতি, গণিত, হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান), ১৯৯৮-১৯৯৯ শিক্ষাবর্ষে ৬টি (বাংলা, ইংরেজী, ব্যবস্থাপনা, ইসলামের ইতিহাস, উদ্ভিদবিজ্ঞান এবং প্রাণিবিজ্ঞান), ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে ২টি ( ইতিহাস ও দর্শন) এবং ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে ২টিসহ (পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) মোট ১৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে।
বিভিন্ন পর্যায়ে বর্তমানে কলেজটিতে ১২ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করছে। মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত মোট ১৪টি বিষয়ে অনার্স ও ৯টি বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজী, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগ রয়েছে।
সান নিউজ/এনজে