ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অছাত্র ও বহিরাগত ক্যাডার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তা ও লাঞ্ছিতের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে উপাচার্যের সাথে দেখা করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন : ইবি লোক প্রশাসন বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ও বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এসময় তাদের হাতে হেনস্তাকারীদের বিচার চাই, সন্ত্রাসের আস্তানা এ ক্যাম্পাসে হবে না, বহিরাগতদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুটিয়ে দাও, প্রশাসন নিরব কেন? বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা যায়।
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে অবমাননার অভিযোগ
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক দেখা করতে গেলে বহিরাগত ও অছাত্ররা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও উস্কানিমূলক কথা বলে। আমরা মনে করি এতে শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা ভিসি মহোদয়কে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিতে চাই এর মধ্যে যদি অপরাধীদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় না আনা হয়। তাহলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।
পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গেলে সেখানে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী উপস্থিত হন। এসময় তারা দাবি করেন শিক্ষার্থীদের দিয়ে একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এর প্রেক্ষিতে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে। এসময় সেখানে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী কামাল হোসেন, শাহিন পাশা, সাকিল আহমেদ ও প্রাঞ্জল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুরু
এর আগে সকাল ১১ টার দিকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী এবং নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ক্যাম্পাসে যেন কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ছাত্রলীগ সবসময় সজাগ থাকবে।
সান নিউজ/এমআর