নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাগেরহাটের মোংলা নদী–সংলগ্ন গ্রাম ‘মাছমারা’। মাছমারা গ্রামের একটি খালের নামও হয়ে ওঠে ‘মানুষমারা খাল’। কারণ খালটি সত্যি সত্যিই মানুষ মারছিল। খালের ওপরে যে সেতুটি ছিল তার ভগ্নদশার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটতো মানুষের পারাপারে। কাঠের সেতুটি ছিল চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। কোনো বাহন চলাচল তো দূরের কথা, এটি দিয়ে মানুষ পার হত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এটি ছিল যেন মরণফাঁদ। একবার এই সেতু থেকে পড়ে গিয়ে এক বৃদ্ধা নিহত হন। সেই থেকে খালের নাম হয়ে ওঠে ‘মানুষমারা খাল’।
কথায় আছে “এক দেশের গালি, আরেক দেশের বুলি”। তেমন গালিতেও নামকরণ হয়ে ওঠে অনেক কিছুর। আবার নানা কাহিনী, নানান কথায় কথায় গড়ে ওঠে এক এক স্থান বা জিনিসের নাম। তাই বলে কোন বিদ্যালয় কি আর মানুষ মারতে পারে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া হয় বরং মানুষ হতে। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামই যদি হয় ‘মানুষমারা’, তাহলে?
প্রকৃতপক্ষে এমন নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও এতদিন বর্তমান ছিল নীলফামারী জেলার সদর উপজেলায়। তবে এই নামটি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলের আপত্তি অনেকদিনের। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি আমলে নিয়ে ভীতিকর নামটি বদলে দিয়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন নাম রেখেছে ‘মানুষগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাহানারা রহমান সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত আদেশে সই করেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদেশটি জারি করা হয়েছে। আদেশে বলা হয় জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।