ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহারসহ অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৩ নারীসহ আটককৃত ৯ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে আটক ২২
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বের) শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রসহ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মোতালেব হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে আটক পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলার ৩৪ টি কেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষায় জালিয়াতি করায় ডিভাইসসহ ৪ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আটক ৩৫
ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইন্স স্কুল কেন্দ্র থেকে শ্রী টংকনাথ বর্মন (৩২), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মো. সোহানুর রহমান (২৮), ঠাকুরগাঁও কালেক্টরেট স্কুল কেন্দ্র থেকে মো. উমর ফারুক (২৯) এবং ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে মো. আনোয়ার খালেদকে (২৮) আটক করা হয়।
আটককৃত টংকনাথ বর্মন রাণীশংকৈল উপজেলার বাজেবকসা গ্রামের পঞ্চানন চন্দ্র বর্মনের ছেলে, একই উপজেলার আলসিয়া গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. সোহানুর রহমান (২৮), পীরগঞ্জ উপজেলার পাটুয়াপাড়া গ্রামের মো. আলিম উদ্দীনের ছেলে মো. উমর ফারুক (২৯) এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আলোকসিপি গ্রামের মো. জামান আলীর ছেলে মো. আনোয়ার খালেদ (২৮)।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা
এছাড়া শহরের আরকে স্টেট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পূর্বে প্রস্তুতকৃত উত্তর পত্রের কপিসহ ৩ নারী পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হলেন- সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের আজহারুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা খাতুন (২৭), বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে মোছা. হাসনা হেনা (৩০) এবং পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের সমীরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. আর্জিনা (৩০)।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির পরীক্ষার্থী আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মনছুর রহমান জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে অসদুপায় অবলম্বন করায় ৯ পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে মামলায় তাদের আসামি করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে