এস এম সাইফুল ইসলাম কবির: আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম তেত্রিশ বছর পূর্ণ করে চৌত্রিশ বছরে পদার্পণ করছে।
আরও পড়ুন: দেবকী কুমার বসু’র জন্মদিন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আপামর মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও ত্যাগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছর ৩১ জুলাই।
এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪ টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়। একই বছরের ২৫ নভেম্বর শিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল প্রকাশ রোববার
প্রতিবছর এ দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সময়ের চাহিদা অনুযায়ী এখানে জীববিজ্ঞান, বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা, কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন, আইন ও চারুকলাসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল বা অনুষদের সংখ্যা ৮ টি এবং ডিসিপ্লিন বা বিভাগের সংখ্যা ২৯ টি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি, যার মধ্যে ৩৪ জন বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শিক্ষক আছেন ৫ শতাধিক, যার এক তৃতীয়াংশই পিএইচডিধারী। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১৪। ছাত্রছাত্রীর অনুপাত ৫৪:৪৬ যা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
কর্মকর্তা ৩ শতাধিক এবং কর্মচারীর সংখ্যা ৫ শত। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৬ টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার গ্র্যাজুয়েটকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিজ্ঞানপত্র প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পর গত ৩৩ বছরে এখানে কোনো ছাত্র সংঘর্ষ, হানাহানি বা রক্তপাত হয়নি।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে এই দীর্ঘ সময়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। দেশে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট, সন্ত্রাস ও রাজনীতিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বতন্ত্র ভাবমূর্তি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শ্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে। তাহলো: 'Learn, Lead and Live' যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘শিখুন, নেতৃত্ব দিন এবং বাঁচুন’। এছাড়া নতুন ভিশন, মিশন এবং রিসার্চ স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাকালের দিক থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নবম। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গল্লামারী নামক স্থানে স্থাপিত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। স্থানটি একাত্তরের বধ্যভূমি। আর বধ্যভূমির ওপর গড়ে ওঠা এটাই দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে নবান্ন উৎসব
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই মনে হবে এক শান্ত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। নেই কোনো কোলাহল, নেই শব্দ দূষণ। বিশেষভাবে চোখে পড়বে একই রঙে রাঙানো ভবনগুলোর দেওয়াল।
প্রশাসনিক বা একাডেমিকসহ কোনো ভবনের গায়ে চিকা মারা নেই। নেই কোনো শ্লোগান লেখা, নেই কোনো ব্যানার, ফেস্টুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ভবনের নাম বিধৃত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহিদ তথা বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নামে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশদ্বার দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই প্রথম চোখে পড়বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুউচ্চ ম্যুরাল, যার গায়ে উৎকীর্ণ আছে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ।
আরও পড়ুন: কবিরহাটে রুপালী ব্যাংকের বুথ উদ্বোধন
এছাড়া রয়েছে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবন, ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন, আচার্য জগদীশচন্দ্র একাডেমিক ভবন, কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন। এমনভাবে প্রবেশ পথেই প্রত্যেকটি আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনার নাম লেখা দেখতে পাবেন।
এ যেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিজস্বতা। বঙ্গমাতা হলে রয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরাল। রয়েছে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহদাকার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি স্থপত্যশৈলী চমৎকার। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে নামকরণ করা হয়েছে এ ভবনটির, যার ছাদ দৃষ্টিনন্দন টেনসাইল মেমব্রেনে তৈরি।
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিষয় নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়, তা কিন্তু গতানুগতিক ছিলো না। তা ছিলো ভবিষ্যত প্রয়োজনমুখী। তখনকার বিশ্ববিদ্যায় কর্তৃপক্ষ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিদ্যাজন দূরদর্শিতা দেখিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সাগরে লঘুচাপের পূর্বাভাস
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বুয়েটের পরই ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স ক্রেডিট পদ্ধতি চালু হয়। দেশের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন, ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন এবং ঢাকার বাইরে স্থাপত্য ডিসিপ্লিন ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন প্রথম চালু হয়।
দেশের মধ্যে ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় হিসেবে চালু হয়। সুন্দরবন ও উপকূল নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থাপিত হয়েছে ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস এন্ড কোস্টাল ইকোসিস্টেম (আইআইএসএসসিই)।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত হয়েছে দেশের প্রথম সয়েল আর্কাইভ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের মাটির ২০ ফুট গভীর নিচে সুরম্যভাবে স্থাপিত এ আর্কাইভ। এখানে সংগৃহীত আছে দেশের ৫টি জোনের ১৮৫৮টি প্লটের ৫ হাজারের বেশী মাটির নমুনা, যা সংরক্ষণ করা হয়েছে গবেষণার জন্য।
আরও পড়ুন: সৌদি গেলেন সেনা প্রধান
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নেই, সেশনজট নেই। তবে শিক্ষার্থীদের ৩২ টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে, যার সাথে সম্পৃক্ত থেকে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব, দক্ষতা ও সাংগঠনিক মনোবল অর্জন করে।
তারাই সারাবছর উৎসবমুখর রাখে ক্যাম্পাস। শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রক্তদানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, খেলাধুলার জন্য আন্তডিসিপ্লিন ক্রিকেট, ফুটবল টুর্নামেন্ট ছাড়াও অ্যাথলেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। উপসানালয় হিসেবে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ, রয়েছে মন্দির।
এ বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন ক্যাফেটেরিয়ার উদ্বোধন করা হয়েছে। ইট-পাথরের শহরের মধ্যে গোলপাতার ছাউনিতে গ্রাম বাংলার ছোঁয়া পেয়েছে এই ক্যাফেটেরিয়া। ওভাল শেপ আকারে নির্মিত এ ক্যাফেটেরিয়ার আয়তন ৫৪০০ স্কয়ার ফিট। এটি সবাইকে আকৃষ্ট করছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন লেকওয়ে। এখানে আছে বৃক্ষছায়ায় হাঁটাহাঁটি গল্প আড্ডা ও চা-কফির জায়গা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
বর্তমান সরকার দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ইতোমধ্যে হেকেপ প্রকল্প বাস্তবায়ন ছাড়াও শিক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হয়, সেজন্য বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল স্থাপন করেছে।
এই কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক- বিএনকিউএফ এর গাইডলাইন অনুসরণ করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বিশ্বমানের আউটকাম বেজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলাপ্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
গত জানুয়ারি থেকে প্রণীত ওবিই কারিকুলা এবং একই ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্সে ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমবিকাশের ধারায় এখন শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনায় বিশ্বমান অর্জনে জোর দেওয়া হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ফোকাস্ড ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর আন্তর্জাতিক র্যাংকিং, কিউএস র্যাংকিং, টাইমস্ হায়ার এডুকেশন র্যাংকিং এ স্থান করে নিয়েছে। এছাড়াও এ বছর ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ৯৫.৪৭ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পাশেই সমাহিত হলেন পরীর নানা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশনের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, একাডেমিকসহ সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের গতি ত্বরান্বিত করতে ডি-নথি চালু, সফট ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পের আওতায় হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যাকবোন, সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেম স্থাপন এবং আধুনিক সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন, আবাসিক হলের সিট বুকিং, অ্যাপস্ ব্যবহার করে ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজের রুম বুকিং, অনলাইনে চাকরির আবেদন, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত প্রশিক্ষণ কক্ষ, ল্যাব উল্লেখযোগ্য।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শীঘ্রই স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিলাইজেশনের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব-স্মার্ট ইউনিবেটর স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়েটে ‘ইটিই ইনফিক্সন’ উৎসব শুরু
গত ১৮ অক্টোবর সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির অটোমেশনের কাজও শেষ হয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) এটি উদ্বোধন করা হবে। এটা সম্পন্ন হলে এতদঞ্চলের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ, যা অনলাইনে ব্যবহারের সুযোগ উন্মুক্ত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ শিক্ষাদানের পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবনা। একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে নিয়ে যায় তার গবেষণা ও উদ্ভাবনার সাফল্য। এ লক্ষ্য সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি তথা নবীন-প্রবীণ গবেষকদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে গবেষণার অনুদান বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এনজে