এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হাজ্বী রাজাউল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে ৫ টি পদের ২ পদেই ছেলে ও ভাইকে অর্থের বিনিময়ে গোপন নিয়োগের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির ৩ জন অভিভাবক সদস্য ও একাধিক আবেদনকারী প্রার্থীরা বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আবেদনকারী ও স্থানীয়দের দাবিন নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়ার।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের হাজ্বী রাজাউল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক শূন্য/সৃষ্ট ৫ টি পদে গত ২৫ আগস্ট ম্যানেজিং কমিটির একাধিক অভিভাবক সদস্যদের কোনো কিছু না জানিয়ে গোপন রেখে এলাকায় না আসা বহুল প্রচারিত পত্রিকা ব্যতিরেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ফলে এলাকার অনেক প্রার্থী আবেদন করতে পারেনি।
যারা আবেদন করেছে, তাদের মধ্যে অনেক প্রার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, একাধিক পদে সভাপতির নিজ ছেলে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদে রেজাউল ইসলামকে, ছোট ভাই মো. সাইফুল ইসলামকে অফিস সহায়ক পদে ও অন্যান্য পদে অর্থের বিনিময়ে আত্মীয় স্বজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে এলাকায় কথা উঠেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় শিশু হত্যা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য, অভিযোগকারী তাপস কুমার হালদার, আব্দুর রশিদ হাওলাদার ও রিনা বেগম বলেন, ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত সভার বিষয়ে তারা কোনো কিছুই অবহিত নন।
সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের কাছের ২/১ জনের লোক গোপনীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন। বহুল প্রচারিত পত্রিকায় নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মেধাভিত্তিক স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সম্পন্ন করার দাবি জানাই উধ্বর্তন প্রশাসনের প্রতি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। একাধিক পদে আবেদন পড়েছে অনেক। ছেলে ও ভাই প্রার্থী থাকায় তিনি নিয়োগ বোর্ডে সভাপতি হিসেবে থাকবেন না।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পেছাল
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গিরিশ চন্দ্র সেন বলেন, ৫ টি পদে ২৮ টি আবেদন পড়েছে। আবেদনের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আবেদনকারীদের ২১ নভেম্বর পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছে।
অভিযোগকারী ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি ও এলাকার সচেতন নাগরিক হিসেবে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। নিয়োগ বোর্ডটি অন্য জায়গায় বসে হওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
আরও পড়ুন: শ্রীপুরে বিদ্যালয়ে আগুন
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম তারেক সুলতান বলেন, রাজাউল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগটি তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হবে।
বাগেরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম সাইফুর রহমান বলেন, বিদ্যায়ের অভিযোগটি তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। নিয়োগ বিধি মোতাবেক হবে।
সান নিউজ/এনজে