বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলা অঞ্চলের নারীদের শিক্ষা, অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে ইডেন কলেজের অবদান অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
তিনি বলেন, ১৮৭৩ সালে এ কলেজের যাত্রা শুরু। বহু জায়গা ঘুরে ১৮ একরের ক্যাম্পাসটি আজকে ইডেন কলেজ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবদান অনেক। বাংলা অঞ্চলের নারীর শিক্ষা, অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে এ কলেজটির অবদান অনস্বীকার্য।
শনিবার (৪ নভেম্বর) ইডেন মহিলা কলেজের ১৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। বিশেষ কারণে তিনি আসতে না পারায় শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিলেন ঢাবির নতুন উপাচার্য
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইডেন কলেজের উজ্জ্বলতম সাবেক শিক্ষার্থী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ সকালে এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে মোবাইলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নে যে রোল মডেল, তার পেছনে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী শেখ হাসিনার অবদানও অনস্বীকার্য।
ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষাকে আমরা সর্বস্তরেই বিশ্বমানে উন্নীত করতে চাই। আমরা শেখ হাসিনার হাতেই যুগোপযোগী একটি শিক্ষানীতি পেয়েছি। সেটাকে আরও যুগোপযোগী করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নতুন একটি শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করছি আমরা।
নতুন শিক্ষাক্রমে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে আমাদের সন্তানরা এগিয়ে যাবে। পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বৈষম্যেরও সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: ‘ডক্টর অব লজ’ গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। অথচ একটি পক্ষ না জেনে-বুঝে এ শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করে যাচ্ছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন সামনে রেখে শিক্ষাক্রমবিরোধী আন্দোলনে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ইন্ধন যোগাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রম আমাদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এ নিয়ে ছড়ানো কোনো গুজবে কান দেবেন না। এগিয়ে যাওয়ার এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের কথায় কান দেওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
আরও পড়ুন: ঢাবির সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী
আয়োজিত অনুষ্ঠানে কলেজের ১৮ জন আলোকিত প্রাক্তনীকে উত্তরীয় পরিয়ে বিশেষ সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
এদিকে, সার্ধ-শতবর্ষ উপলক্ষে এদিন ইডেন কলেজে আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
সান নিউজ/এইচএন