নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: প্রতিষ্ঠার দেড় যুগের বর্ষে যাত্রা শুরু করলো খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। বিভিন্ন আনন্দ আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ‘কুয়েট দিবস ২০২০’।
ভৈরব-রূপসা বিধৌত এ পাদপীঠে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতি বছর জাকজমকপূর্ণভাবে উৎসবমুখর অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করলেও করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর ছিল সংক্ষিপ্ত আয়োজন।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বিভিন্ন আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পরে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ সূচনা করেন তিনি।
সকাল ১০টায় কুয়েটের শহীদ মিনার সংলগ্ন লেকের পাড়ে বৃক্ষরোপণ ও সাড়ে ১০টায় লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করেন উপাচার্য।
জুমের মাধ্যমে বেলা ১১টায় ‘কুয়েটের অর্জন: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন ও সাড়ে ১১টায় আলোচনা সভা এবং বাদ আছর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানের গ্রাজুয়েটরা সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দেশে-বিদেশে কাজ করে চলেছেন। বিষয়টি আমাদের গর্বিত করে’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৮৩৮ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে কুয়েট ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের সুযোগ-সুবিধা অনেক বাড়বে।’
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কে এম আজহারুল হাসান, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) ড. ইসমাঈল সাইফুল্যাহ। মুখ্য আলোচক ছিলেন আইআইসিটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ।
জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আইইপিটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. এ এন এম মিজানুর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এম এম এ হাসেম, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী মোল্লা, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা সরোয়ার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. কাজী এবিএম মহীউদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ড. এম এ রশীদ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সজল কুমার অধিকারী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল হাসিব, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সেখ আক্কাস আলী, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সভাপতি জি এম মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মার্কজ বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান, পিডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কে এম হাসান, ডিপিডিসি বোর্ডের ডিরেক্টর প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন, পিডিবি’র সাবেক এসই প্রকৌশলী খান মঞ্জুর মোর্শেদ, কনটেক ভিশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন শিবলু, এসবিএসি ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড রিকভারি) প্রকৌশলী সালাউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ নির্দেশনায় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), খুলনা পরিণত এবং ২০০৩ সালের ০১ সেপ্টেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) রূপান্তরিত হয়।
সান নিউজ/ এআর